বাণিজ্যমেলায় রাজা চায়ের স্বাদে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৫:০১ পিএম, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

শেষ সময়ে এসে জমে উঠেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৮তম আসর। প্রতিদিনই হাজারো ক্রেতা-দর্শনার্থীর আগমন ঘটছে মেলা প্রাঙ্গণে। মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে রাজা চা। রাজকীয় এ চায়ের স্বাদ নিতে মেলায় প্রবেশ করেই দর্শনার্থীরা ছুটে আসছেন চায়ের এ স্টলটিতে। রাজার বেশে পরিবেশন করা এ চায়ে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) স্টলটিতে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

Raza-Tea3.jpg

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজা চায়ে কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম, জাফরানসহ নানা জাতের মসলা, তালমিছরি, গরুর দুধ ও গুঁড়া দুধ মেশানো হয়। এছাড়া এটি বালুর তাপে গরম করা হয়। প্রতি কাপ চা বিক্রি করা হয় মাত্র ৫০ টাকায়। চায়ের স্বাদ নেওয়ার পাশাপাশি অধিকাংশ দর্শনার্থীকে স্টলটির মালিকের সঙ্গে সেলফি তুলতে ভিড় করতে দেখা যায়। অনেকেই আবার চা তৈরি ভিডিও ধারণ করছেন।

চা খেতে আসা আরিফ হোসেন নামের এক দর্শনার্থী বলেন, এ চায়ের কথা অনেকবার শুনেছি। তাই এবার চায়ের স্বাদ নিতে এ স্টলে আসলাম।

Raza-Tea3.jpg

তামান্না আক্তার তিশা নামের আরেক দর্শনার্থী জানান, তার তৈরি করা চা সত্যিই অসাধারণ। এভাবে অন্য কোথাও চা পরিবেশন করতে দেখিনি কখনো। এক কাপ চা পান করলে মন চায় আরও খেতে।

চায়ের নাম রাজা হলেও স্টলটির মালিকের নাম রাজা নয়। তার আসল নাম আজহার উদ্দিন (৪৪)। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার নওধার গ্রামে। ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্ট করে আজ এ অবস্থায় এসেছেন। অভাবের তাড়নায় একবার দুবাইয়ে যান তিনি। ২০১৮ সালে দেশে ফিরে তিনি চায়ের ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে সারাদেশে ২৮টি শাখা রয়েছে তার।

আজহার উদ্দিন বলেন, শুরুর দিকে দেশের মানুষ তার দামি চা খাবে কি না তা নিয়ে সন্ধিহান ছিলেন। কিন্তু তার তৈরি চায়ের স্বাদে মুগ্ধ হয়ে ক্রেতারা তাকে রাজা মামা উপাধি দিয়েছেন। গতবারের তুলনায় এবারের মেলায় তিনি চাপ্রেমীদের বেশি সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান।

Raza-Tea3.jpg

দেশীয় পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিপণন, উৎপাদনে সহায়তার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবির যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এ মেলা হতো শেরেবাংলা নগরে। করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালে মেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এরপর মহামারির বিধিনিষেধের মধ্যে ২০২২ সালে প্রথমবার মেলার আয়োজন করা হয় পূর্বাচলে বিবিসিএফইসিতে। এবার তৃতীয়বারের মতো স্থায়ী ভেন্যু বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চীনের অর্থায়নে পূর্বাচলে স্থায়ী বাণিজ্যমেলা কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি বছর এখানেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার আসর বসবে।

রাশেদুল ইসলাম রাজু/এমআইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।