যে কারণে বৃত্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২৭ পিএম, ০২ আগস্ট ২০২৫

‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ বৈষম্যমূলক, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। কারণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা, বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গণ উপযোগী সকল শিশুর জন্যই উন্মুক্ত।

শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ইনফরমেশন অফিসার আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব বলা হয়।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ঐক্য পরিষদ’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত বক্তব্যের প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এরই একটি, শুধু পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’।

বাংলাদেশের শিক্ষা জরিপগুলোতে দেখা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিম্নবিত্ত পরিবারের। পক্ষান্তরে, কিন্ডারগার্টেনে অধ্যয়নরত বেশিরভাগ শিক্ষার্থী তুলনামূলকভাবে সচ্ছল পরিবারের। ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ এই নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর সন্তানদের শিক্ষার ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখতে একটি আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে।

কিন্ডারগার্টেনসমূহ তাদের অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শুধু কিন্ডারগার্টেনসমূহের শিক্ষার্থীদের জন্য দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ‘কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তি পরীক্ষা’ চালু রেখেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা সে বৃত্তি পরীক্ষাতে অংশগ্রহণ করতে পারে না। এজন্য সেসব শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বৃত্তি পরীক্ষা চালু করার দাবি উত্থাপিত হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ১৭(ক) অনুচ্ছেদ এবং বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন, ১৯৯০ অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সকল শিশুর অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে কোনো ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ নীতি কার্যকর নেই। যারা নিজেদের সন্তানদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ান, তারা স্বেচ্ছায় তা করেন। এসব বিবেচনায় ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা’ বৈষম্যমূলক, এমন অভিযোগ সঠিক নয়। কারণ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা, বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গমনোপযোগী সকল শিশুর জন্যই উন্মুক্ত।

এএএইচ/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।