সব শিক্ষার্থী টিকার আওতায় আসবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়ছে। সেজন্য সারাদেশে শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম বিস্তৃত করা হচ্ছে। সবাইকেই টিকার আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমের দিকে যেতে আরও সময় লাগবে। আমাদের দুই বছরের অভিজ্ঞতা বলছে, মার্চ মাসের দিকে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। তাই মার্চ মাস পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর দনিয়া কলেজে আয়োজিত বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবর্ষ উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের আরও অনেক কিছু করার রয়েছে। মুখস্থ, পরীক্ষানির্ভর ও সার্টিফিকেটসর্বস্ব শিক্ষা নয়; আমরা এমন শিক্ষাব্যবস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি যেখানে জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি দক্ষতা অর্জন করবে। শিক্ষাব্যবস্থায় জ্ঞানের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা যদি দিতে না পারি, তাহলে সে ব্যর্থতা আমাদের।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য আমাদের তৈরি হতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ হতে হবে। আগের তিনটা বিপ্লবও আমরা ধরতে পারিনি। আইসিটিতে দক্ষ না হলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আমাদের পেছনে ফেলে চলে যাবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ডা. দীপু মনি বলেন, শৈশব থেকে বিজ্ঞানমনষ্ক ও প্রযুক্তিবান্ধব হতে হবে। একই সঙ্গে মানবিক মানুষ হতে হবে। আশা করি তোমরা দক্ষ, যোগ্য ও সুনাগরিক হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আমরা রাজনীতির নামে মানুষ পুড়িয়ে মারা ও ষড়যন্ত্র করতে দেখেছি। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিতে দেখেছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে দেখেছি। এটা কীভাবে রাজনীতি হয়! এটা হত্যা, রাজনীতি নয়। যে রাজনীতি দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসে, তরুণদের কর্মসংস্থান হয়, দেশের কৃষ্টি লালন-পালন হয়; সেই রাজনীতির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, আমাদের বড় চাওয়া তোমাদের (শিক্ষার্থী) দক্ষ নাগরিক হতে হবে। বিজ্ঞান ও সাহিত্যের চর্চা করতে হবে। দেশমাতৃকা যাতে কষ্ট না পায় তার জন্য তোমাদের অতন্দ্র প্রহরী হতে হবে।
দনিয়া কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি কে এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ আবু আহমেদ মন্নাফি, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি কামরুল হাসান রিপন প্রমুখ।
এমএইচএম/কেএসআর/জিকেএস