ভান্ডারিয়ার চার ইউনিয়নে লড়াই হবে আ.লীগ ও জেপির মধ্যে


প্রকাশিত: ১০:৫৫ এএম, ০৮ মার্চ ২০১৬

জাতীয় পার্টি জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নিজ উপজেলা ভান্ডারিয়ার চার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও জেপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে।

গত ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মঞ্জুর সঙ্গে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইছাহাক আলী খান পান্নার মধ্যে সমঝোতা হলেও ইউপি নির্বাচনে কোনো সমঝোতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা । বরং দলীয় প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে আ.লীগ ও জেপি নেতারা কোমড় বেধে মাঠে নেমেছেন। ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভান্ডারিয়ায় আওয়ামী লীগ ও জেপির মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ নেতারা পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভা সমাবেশ বর্জন করেছেন।

আসন্ন নির্বাচনে উপজেলার ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নে জেপি প্রার্থী দিয়েছে সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান ও উপজেলা জেপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মশিউর রহমান মৃধাকে। আর আ.লীগ প্রার্থী দিয়েছে খান এনামূল করিমকে।

ধাওয়া ইউনিয়নে জেপি প্রার্থী দিয়েছে সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান জেপির ভান্ডারিয়া উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব ছিদ্দিকুর রহমান টুলুকে আর আ.লীগ প্রার্থী দিয়েছে সাবেক চেয়ারম্যান বাদশা মৃধাকে।

ইকড়ি ইউনিয়নে জেপি প্রার্থী দিয়েছে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই হাওলাদারকে তার বিপরীতে আ.লীগ প্রার্থী দিয়েছে উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির হাওলাদারকে।

গৌরিপুর ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী দিয়েছে সাবেক চেয়ারম্যানের ছেলে ইকবাল হোসেন তালুকদারকে। তার বিপরীতে জেপি প্রার্থী দিয়েছে মো. মজিবুর রহমান চৌধুরীকে। এ চার ইউনিয়নের তিনটিতে আ.লীগ তরুণ প্রার্থী দিলেও মাত্র একটিতে (ধাওয়ায়) সাবেক চেয়ারম্যানকে প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পেরেছে।
 
তিনি (বাদশা মৃধা) পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকায় বসবাস ও জেপির প্রার্থীর (টুলু ডাকুয়া) তুলনায় বয়োবৃদ্ধ হওয়ার  কারণে ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তারে কিছুটা সমস্যায় পড়ছেন। তবে ৪ নম্বর ইকড়ি ইউনিয়নে আ.লীগ প্রার্থী হুমায়ুন কবির হাওলাদার নতুন প্রার্থী হলেও জেপির প্রার্থী আব্দুল হাই হাওলাদারের তুলনায় সুবিধা জনক অবস্থানে রয়েছেন।

এ ইউনিয়নে জেপির মনোনয়ন বঞ্চিত দুইজন সাইকেল প্রতীকের বিরুদ্ধে নৌকার পক্ষে কাজ করছেন বলে জেপি প্রার্থী আব্দুল হাই অভিযোগ করেছেন।

এ ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী থাকলেও আ.লীগ ও জেপির প্রার্থীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে এলাকার ভোটারগণ মন্তব্য করেছেন।

১ নম্বর ভিটাবাড়িয়া ইউনিয়নে নতুনের সঙ্গে পুরানের লড়াই হবে বলে ভোটারদের ধারণা। ৭ নম্বর গৌরিপুর ইউনিয়নে আ.লীগ ও জেপির প্রার্থী দুজনই নতুন।

বিএনপির প্রার্থী নিয়ে খোদ দলের মধ্যে বিতর্ক থাকায় সুবিধাজনক অবস্থায় আ.লীগ ও জেপির প্রার্থী। তারা দুজন বিএনপি ও জামায়াতের ভোটারদের পক্ষে টানতে তৎপর রয়েছেন।

হাসান মামুন/ এমএএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।