৩ বৈমানিকের মরদেহ হস্তান্তর


প্রকাশিত: ০২:৪২ এএম, ১৭ মার্চ ২০১৬

কক্সবাজারে কার্গো বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ৩ বিদেশী বৈমানিকের মরদেহ অবশেষে ট্রু এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে এ বিষয়ে থানায় কাগজপত্র দাখিলের পর পুলিশ মরদেহ হস্তান্তর করে।

তবে এসব মরদেহ এখনও কক্সবাজার সদর হাসপাতালের হিমঘরেই রয়েছে। তাদের মরদেহ কবে নাগাদ দেশে পাঠানো হবে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
 
কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, বুধবার বিকেলে কাগজপত্রে স্বাক্ষরের পর তিন বৈমানিকের মরদেহ ট্রু এভিয়েশনের লোকজন গ্রহণ করেছে। মরদেহগুলো এখনো কক্সবাজার সদর হাসপাতালের হিমঘরে রয়েছে। এখন তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন কখন ও কীভাবে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে পৌঁছাবেন।

এবিষয়ে বিমান সংস্থাটির স্থানীয় প্রতিনিধি আশেকউল্লাহ রফিক এমপি বলেন, মরদেহগুলো শিগগিরই দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এজন্যই মরদেহগুলো গ্রহণ করা হচ্ছে।
 
তিনি জানান, বাংলাদেশে ইউক্রেন দূতাবাস না থাকায় ভারতের ইউক্রেন দূতাবাসের মাধ্যমে কাগজপত্র সম্পাদনা করে মরদেহ পাঠাতে দেরি হচ্ছে। আশা করা যায়, প্রয়োজনীয় ক্লিয়ারেন্স পাওয়া গেলে দ্রুত মরদেহ পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ৯ মার্চ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার শহরের ১ কিলোমিটার পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয় চিংড়ি পোনা পরিবহণকারী কার্গো বিমানটি। এতে বিমানের পাইলট মারাদ কাপারভ, কো-পাইলট ইভান ডেমান ও ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার কুলিশ আন্দ্রে নিহত হন। আহত হয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নেভিগেটর ডলোডারমান। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর গতকাল বুধবার বিকালে ৩ বৈমানিকের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।  

সায়ীদ আলমগীর/এফএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।