গবেষণায় বিশ্বে বাংলাদেশ ৫৩তম: প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়া
গবেষণা ক্ষেত্রে বিশ্ব র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ৫৩তম এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ১৩তম বলে জানিয়েছেন বিশ্বের প্রথম সারির প্রকাশনা সংস্থা এলসেভিয়ার দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সিনিয়র অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার ফারাহা সিদ্দিকি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কীভাবে গুণগত গবেষণায় জোর দিতে পারে তা নিয়ে আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী। এলসেভিয়ার বাংলাদেশের গুণগত গবেষণা উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায়।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্তি দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সঙ্গে তার দপ্তরে সভা করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিরা। এসময় ফারাহ সিদ্দিকি এসব তথ্য তুলে ধরেন।
ফারাহ সিদ্দিকি বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর ৫১ হাজার ৩৩৫টি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। ২০১৮ থেকে এ সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২ সালে ১৯ শতাংশ গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ বেড়েছে। গুণগত গবেষণা বৃদ্ধির হার এসময়ের মধ্যে মাত্র দুই শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেসব গবেষণা প্রকাশিত হয় এর মধ্যে ৯০ শতাংশ ইউজিসির আওতাধীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে হয়ে থাকে। এসব গবেষণার প্রবন্ধের মধ্যে ৪৫ শতাংশ কিউ১ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে কাঙ্ক্ষিত স্থান অর্জনে গবেষণায় প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার আগ্রহও প্রকাশ করে এলসেভিয়ার। প্রতিষ্ঠানটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুণগত গবেষণা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে।
আরও পড়ুন>> গবেষণায় ‘চুরি’ ঠেকাতে ঢাবির নীতিমালা হাইকোর্টে: ইউজিসি
সভায় গুণগত গবেষণা বিষয়ে অধ্যাপক ড. আলমগীর বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুণগত গবেষণায় যেন ভালো করতে পারে সেজন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মূল বাজেটে ১৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইউজিসি বিভিন্ন গবেষণা বৃত্তি, ফেলোশিপ প্রদান ও নীতিমালা প্রণয়ন করছে।
তিনি আরও বলেন, গুণগত গবেষণায় বাংলাদেশ যাতে ভালো করতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ‘হায়ার এডুকেশন এক্সিলারেশন এন্ড ট্রান্সফরমেশন’ এবং এডিবির অর্থায়নে ‘ইম্প্রুভিং কম্পিউটার অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং টারশিয়ারি এডুকেশন’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ দুটি প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন হলে গুণগত গবেষণায় দেশ এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সহজে ও স্বল্পমূল্যে এলসেভিয়ারের ই-রিসোর্স যাতে ব্যবহার করতে পারে সেজন্য ইউজিসি শিগগির একটি চুক্তি সম্পন্ন করবে বলে দুই পক্ষ সম্মত হয়েছে।
সভায় ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া এবং এলসেভিয়ারের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সিনিয়র সলিউশন সেলস ম্যানেজার (বুকস) অর্ণব কুমার দে উপস্থিত ছিলেন।
এলসেভিয়ার প্রতি বছর প্রায় দুই হাজারের বেশি জার্নাল প্রকাশ করে থাকে। প্রকাশিত জার্নালে নিবন্ধের সংখ্যা আড়াই লাখেরও বেশি। এর আর্কাইভে ৭০ লাখের অধিক প্রকাশনা রয়েছে।
এএএইচ/ইএ/জেআইএম