ত্রৈমাসিক অনুপ্রাণন

সাম্প্রতিক বাংলাদেশের কবি ও কবিতা সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২১ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

শফিক হাসান

শিল্প-সাহিত্যের ত্রৈমাসিক অনুপ্রাণনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। ৮ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে বইমেলার লিটলম্যাগ চত্বরে বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ‘সাম্প্রতিক বাংলাদেশের কবি ও কবিতা সংখ্যা’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন—কবি আহমেদ স্বপন মাহমুদ, কবি মজিদ মাহমুদ, কবি তপন বাগচী, কবি জেবুননেসা হেলেন ও কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার।

বিজ্ঞাপন

স্বাগত বক্তব্যে অনুপ্রাণন সম্পাদক ও প্রকাশক আবু এম ইউসুফ ব্যাখ্যা করেন অনুপ্রাণন ত্রৈমাসিকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সম্পাদক বলেন, ‘এর আগে আমরা প্রকাশ করেছিলাম বাংলাদেশের কবি ও কবিতা সংখ্যা। সেখানে ছিলেন ১০০ জন নির্বাচিত কবি। তাদের জন্ম-সাল ছিল ১৮৯৭ থেকে ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দ। কিছুটা বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্বে আমরা প্রকাশ করেছি সাম্প্রতিকের কবি ও কবিতা সংখ্যা। এখানেও স্থান পেয়েছেন সাম্প্রতিকের ১০০ জন কবি। এই কবিদের জন্ম-সাল ১৯৬৬ থেকে ১৯৮৫।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কবি মজিদ মাহমুদ দশকওয়ারি সাহিত্য বিবেচনার বিপরীতে কবিদের জন্মসাল ধরে অন্তর্ভুক্তির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘এটা সময়ের চাহিদা পূরণ করেছে। অনুপ্রাণনের কার্যক্রম চলমান থাকুক। লেখক ও সমালোচকদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সৃষ্টি হলে আমাদেরই লাভ। সাহিত্য-সংস্কৃতির ধারা বিকশিত হবে এসবের মাধ্যমে।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কবি তপন বাগচী বলেন, ‘বর্তমানে নিয়মিত সাহিত্য ম্যাগাজিন বলতে গেলে নেই-ই। এই শূন্যতায় যথাযথ ভূমিকা রাখছে অনুপ্রাণন। ম্যাগাজিন অনালোকিত দিকগুলোতে আলোকপাত করছে, বিষয়ভিত্তিক সংখ্যা করছে ধারাবাহিকভাবে—এটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। বিষয়বৈচিত্র্যের সংযোগ, একঘেয়েমি-মুক্ত থাকতে পারা, গতানুগতিকতার বাইরে অন্যকিছু করতে পারলে সম্পাদকদের এগিয়ে চলার প্রেরণা অক্ষুণ্ন রাখা যায়।’

কবি আহমেদ স্বপন মাহমুদ বলেন, ‘পর্যাপ্ত টাকা অনেকেরই আছে। তাই বলে তারা কোনো সাহিত্য বা লিটল ম্যাগাজিনের পৃষ্ঠপোষকতা দিতে এগিয়ে আসেন না। না কোনো ব্যক্তি, না কোনো প্রতিষ্ঠান। অনুপ্রাণন এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, ব্যয়বহুল কাজটা ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু চেনা মুখ নয়, জনপ্রিয় কবিও নয়—জীবন-জীবিকার তাগিদে যারা গ্রামে চলে গেছেন, মফস্বলবাসী হতে বাধ্য হয়েছেন এমন কবিদেরও গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করেছে অনুপ্রাণন। এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় দিক।’

কবি জেবুননেসা হেলেন অনুপ্রাণনের সঙ্গে তার ‘আজন্ম-বন্ধন সম্পর্ক’ উল্লেখ করে বলেন, ‘অনুপ্রাণনের প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল ২০১২ সালে, ক্ষীণ কলেবরে। প্রথম সংখ্যায় আমার একটা বইয়ের আলোচনা ছাপা হয়েছিল, লিখেছিলেন সুরাইয়া হেনা। এখন অনুপ্রাণনের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে, বাড়ছে ব্যাপ্তি ও পরিধি। নির্বাচিত ১০০ কবির মধ্যে আমাকে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ জন্য ধন্যবাদ জানাই সম্পাদক আবু এম ইউসুফকে।’

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

দ্বিমাসিক সাহিত্য ম্যাগাজিন নব ভাবনার নির্বাহী সম্পাদক ইমরুল কায়েস বলেন, ‘দেশে দেড় শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। বাংলা বিভাগ রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সাহিত্য গবেষণায় আরও এগিয়ে আসতে পারে, নিবিড়তা বাড়ানো জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে সংরক্ষণ করতে পারে উল্লেখ্যযোগ্য বইয়ের পাশাপাশি সাহিত্য ও লিটল ম্যাগাজিনগুলো।’

কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার বলেন, ‘সন্ধ্যা পেরিয়েছে, আমাদের মাথার উপরে চাঁদ উঠেছে। এই চাঁদনি রাতে দুজন সম্পাদকের স্মৃতিচারণ করলাম। ভবিষ্যতেও কোনো এক চাঁদনি রাতে সম্পাদক আবু এম ইউসুফের কথাও আলোচনা করবো। তবে চিরদিন তো আমরা থাকবো না, আমাদের মৃত্যুর পর ভবিষ্যতের প্রজন্ম আলোচনা অব্যাহত রাখবে। দিব্যদৃষ্টিতে তেমন চিত্রই দেখতে পাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন—লেখক নজমল হক খান, মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ ও রুশ্নি আরা। উপস্থিত ছিলেন— মামুন মুস্তাফা, সৈয়দ নূরুল আলম, জয়দুল হোসেন, বাদল চৌধুরী, রুকসানা রহমান, মুহসীন মোসাদ্দেক, শেলী সেলিনা, সদ্য সমুজ্জ্বল, শফিক হাসান, সাদমান সজীব, শাহীন আলম শেখ প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।