সবসময় মাস্ক পরেই থাকি, এখন একটু ‘রিল্যাক্স’ করছি

অমর একুশে বইমেলার দ্বিতীয় দিন আজ বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)। মেলা প্রাঙ্গণে দেখা যায়, দর্শনার্থীরা ঘোরাঘুরি করছেন ও সেলফি তুলছেন। পাঠকরা বিভিন্ন প্রকাশনী ঘুরে বই দেখছেন, কেউ কিনছেন। এসময় মেলাজুড়ে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা মাইকে বেজে উঠলো, ‘দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনারা মেলায় প্রবেশের সময় মাস্ক পরে প্রবেশ করছেন কিন্তু ভেতরে ঢুকেই মাস্ক খুলে ঘোরাঘুরি করছেন। অনুগ্রহ করে মাস্ক পরুন।’
বুধবার বিকেলে অমর একুশে বইমেলার বাংলা একাডেমি চত্বর ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ঘুরে দেখা যায়, করোনা প্রতিরোধে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রবেশমুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবস্থাসহ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি মেলার পক্ষ থেকেও নিয়োজিত করা হয়েছে সুরক্ষাকর্মী।
তবে, তল্লাশি ও বাধার মুখে পড়ে প্রবেশের সময় মাস্ক পরলেও মেলায় ঢুকে তা খুলে ফেলছেন অনেকেই।
মাস্ক খুলে ঘুরছেন এমন এক নারী দর্শনার্থীকে মাস্ক পরেননি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব সময় পরেই থাকি, কিন্তু এখন একটু ছবি তুলবো, তাই খুলেছি। তার সঙ্গে থাকা আরেকজন বলেন, সবসময় পরেই থাকি। এখন একটু ‘রিল্যাক্স’ করছি।
মাস্ক পরেননি কেন জানতে চাইলে অয়ন নামে এক দর্শনার্থী বলেন, হাতে রাখছি, প্রয়োজন হলে পরি।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশমুখে ২নং গেটে নিরাপত্তার কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক গোলাম রব্বানী জাগো নিউজকে বলেন, আমরা যথেষ্ট সচেতন। কেউ মাস্ক ছাড়া আসলে তাকে ফিরিয়ে দিচ্ছি। মাস্ক না পরলে কাউকে ঢুকতেই দিচ্ছি না।
গেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন কোভিড-১৯ সুরক্ষাকর্মী তীব্র হাসান। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, আমরা জীবাণুমুক্ত করে, মাস্ক নিশ্চিত করেই সবাইকে প্রবেশ করতে দিচ্ছি। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলা একাডেমির অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, হিউম্যান রিসোর্স অ্যান্ড প্ল্যানিং ডিরেক্টর ড. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আমাদের কর্মীরা মেলায় ঘোরাফেরা করছেন। তারা অসচেতনতা দেখলেই আমাদের এসে জানান, আমরা মাইকে মানুষকে সচেতন করি। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। বাকিটা পালন করার দায়িত্ব তো দর্শনার্থীদের নিজেদেরও করতে হবে।
এমআইএস/কেএসআর/জেআইএম