বইমেলায় মোহাম্মদ সলিমুল্লাহর ‘মাস্টার অব ফরেন এক্সচেঞ্জ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০২ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

দেশে কয়েক হাজার ব্যাংকার, সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা বিদেশি বাণিজ্য নিয়ে কাজ করেন। কিন্তু বিদেশি বাণিজ্য নিয়ে বাংলা ভাষায় সেই অর্থে কোনো বই নেই। এ বিষয়কে লক্ষ্য রেখে বাংলা ভাষায় বিদেশি বাণিজ্যের খুঁটিনাটি নিয়ে বই লিখেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও বিনিয়োগ বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ সলিমুল্লাহ।

বইটি প্রকাশ করেছে দাঁড়িকমা প্রকাশনী। ঢাকায় অমর একুশে বইমেলার ৯৪ নম্বর স্টলে এবং চট্টগ্রামে ৫১-৫২ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বইমেলা থেকে ২৫ শতাংশ এবং শিক্ষার্থীরা ৩০ শতাংশ ছাড়ে সংগ্রহ করতে পারবেন বইটি।

লেখক মোহাম্মদ সলিমুল্লাহ বাংলাদেশ ব্যাংকে যুগ্ম পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন। প্রাতিষ্ঠানিক ক্যারিয়ারে তিনি বৈদেশিক বাণিজ্য ও ব্যাংক পরিদর্শন বিষয়ে বেশ সুনাম ও দক্ষতা অর্জন করেছেন। বৈদেশিক বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রকীয় বিধানাবলি এবং পরিদর্শনের কলাকৌশল বিষয়ে তার লিখিত তিনটি হ্যান্ডবুক সহকর্মীদের কাছে গৃহীত ও সমাদৃত হয়েছে। সেই প্রেরণা থেকেই বিদেশি বাণিজ্য নিয়ে পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে বইয়ের লেখক মোহাম্মদ সলিমুল্লাহ বলেন, ফরেন এক্সচেঞ্জ নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের জন্য বাংলা ভাষায় পরিপূর্ণ কোনো বই নেই। পূর্ণাঙ্গ সমাধানের কোনো বই না থাকায় কাজের ক্ষেত্রে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। সরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ কাস্টমস ও সিসিআইঅ্যান্ডইয়ের বিধানাবলি আর ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের প্রদত্ত বিবিধ নির্দেশনার আলোকে এদেশে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করতে পারাটা দুরূহ।

তিনি বলেন, ডাইজেস্ট আকারে বৈদেশিক বাণিজ্য, রেমিট্যান্স, বৈদেশিক বিনিয়োগ, বৈদেশিক ইন্সুরেন্স, লাগেজ-ব্যাগেজ প্রভৃতি বিষয়ে কোনো সমাধান প্রস্তুত করা হয়নি। এজন্য এ দেশে ফরেন এক্সচেঞ্জ নিয়ে খুব বেশি বিশেষজ্ঞও তৈরি হন না।

তিনি আরও বলেন, আমি কাজ করতে গিয়ে ১৮৯৯ সাল থেকে অদ্যাবধি সকল আইন ও বিধান সংগ্রহ করেছি। আমার দীর্ঘ কাজের অভিজ্ঞতা ও আমার অধ্যয়নের মিশেলে এই বইটি লিখতে চেষ্টা করেছি। আশাকরি ফরেন এক্সচেঞ্জ নিয়ে যারা কাজ করছেন বা করতে চান এই বই তাদের জন্য সহযোগী হবে। বিশেষ করে ব্যাংক খাতে যারা বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগে কাজ করেন বইটি তাদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

ইএআর/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।