অমর একুশের ঢল সামলাতে প্রস্তুত বইমেলা


প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ছিল অমর একুশে বইমেলায় লোকে লোকারণ্য। ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় ভিড় জমিয়েছে বইপ্রেমীরা। তার উপর আর কয়েক ঘন্টা পরেই অমর একুশের প্রথম প্রহর। ভাষার জন্য যে বীর সন্তানেরা জীবন দিয়ে গেছেন, তাদের শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানী জুড়ে নামবে বাঙালীর সরব পদচারণা। সবারই গন্তব্য হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।

ভোরের আলো যখন ৮টার কাঁটায় গিয়ে পৌঁছবে, তখন শহীদ মিনারের ঢল গিয়ে পড়বে অমর একুশের গ্রন্থমেলায়। কারণ আগামীকাল (শনিবার) শোক আর গর্বের সমন্বিত চেতনায় উজ্জীবিত বাঙালি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়েই মেলামুখী হবেন।

তাদের আগমনকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিতেই শুক্রবার ব্যস্ত দিন পার করেছেন প্রকাশক ও বিক্রেতারা। স্টলে স্টলে অধিক সংখ্যক বই উঠাতে তৎপর দেখা গেছে অনেক প্রকাশককে। দেখা গেছে কবিতার বইগুলো পেছন থেকে নিয়ে এসেছে সামনে সারিতে।

একাধিক প্রকাশক জানান, একুশে ফেব্রুয়ারিতে কবিতার বই বেশি চলে বলে এ বইগুলো সামনের সারিতে আনা হয়েছে। তবে আজ একুশের আগের দিন শুক্রবার হওয়ায় বিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে। উপচেপড়া ভিড় আছে মেলা জুড়ে। কিন্তু আসল ভিড়টি নামবে কাল (শুক্রবার), একুশের দিনে। লাখো মানুষের ঢল নামবে শহীদ মিনারকে কেন্দ্র করে এ মেলা প্রাঙ্গণে। এ কারণে সকাল ৮টা থেকে টানা রাত ১০টা পর্যন্ত কাল খোলা থাকবে মেলার দ্বার।

শুক্রবার একুশে গ্রন্থমেলায় নতুন বই এসেছে ২৬৪টি এবং ২৭টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। ২০তম দিনে শুক্রবার সবচেয়ে বেশি বই এসেছে কবিতার, ৬২টি। এরপরেই গল্প ৪৮টি, উপন্যাস ৩১টি, ছড়া ১৬টি, শিশু সাহিত্য ১১টি, গবেষণা ও প্রবন্ধ ৬টি করে উল্লেখযোগ্য।

আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।