‘বই মেলার মূল্যায়ন সংখ্যা দিয়ে হয় না’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

‘বইয়ের মেলা! তাও আবার ভাষা আন্দোলনকে উপলক্ষ করে! তাই এ মেলাকে তো অন্য আর দশটি মেলার সঙ্গে তুলনা করলে চলে না। কতটি বই মেলায় এল, তার বিচার না করে কতটি মানসম্মত বই এল, তার ওপরেই আলোচনা করতে হয়। বই মেলার মূল্যায়ন সংখ্যা দিয়ে হয় না। মূল্যায়ন হয় মা দিয়ে।’

কথাগুলো বলছিলেন, বিশিষ্ট লেখক, গবেষক সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমি চত্বরে আলাপে মিলিত হন জাগো নিউজের সঙ্গে। তুলে ধরেন বই আর মেলার সংক্ষিপ্ত চিত্র।

পরিছন্ন পরিবেশের মধ্য দিয়ে এবারের মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে উল্লেখ করে সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই রাষ্ট্র, সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে। পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই সৃজনশীলতা। এমন পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই বই মেলা আজকের এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে।

‘মেলায় দর্শনার্থীরা প্রাণ খুলে ঘুরতে পারছে’ এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিশেষ করে সোহরাওয়ার্দী আর বাংলা একাডেমির মাঝের রাস্তাটি এবারে পরিষ্কার থাকায় মেলার পরিধি অনেকাংশেই বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন পানি ব্যবহার করা হচ্ছে বিধায়, ধুল-বালিও কম। সত্যি কথা বলতে কি, মেলার পরিবেশ এমনটিও হতে হয়।

শিল্প-সাহিত্যের বিচারে বইয়ের সংখ্যার ভিত্তিতে হয় না এমনটি দাবি করে তিনি বলেন, দেশে চারশ’র বেশি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ কারণে মেলায় বেশি সংখ্যক বই আসছে আর এ কারণেই মানহীন বইয়ের সংখ্যাও বাড়ছে। সবাই বইয়ের সংখ্যা বাড়াতে ব্যস্ত। কিন্তু আমি মনে করি, সংখ্যা নয়, মূল্যায়ন হয় মেলায় কয়টি ভালোমানের বই এল।’

লেখক বলছিলেন, অন্য সময়ও বই মেলা হয়। জাতীয় গ্রন্থগার চত্বরে বছরব্যাপী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। বিদেশে এর চেয়ে আরও অনেক বড় বড় মেলা হয়। কিন্তু অমর একুশে বই মেলাটি একেবারেই আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি আর চেতনা ধারণ করে অনুষ্ঠিত হয়। তাই এই মেলার আবেগও অন্যরকম। মেলাটিকে আরও সুন্দর করতে সবাইকে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে প্রকাশকদের মানহীন বই প্রকাশ করা বন্ধ করতে হবে।

এএসএস/এমএইচ/এসকেডি/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।