২০ বছরেও এতো ক্ষতি হয়নি জানালেন প্রকাশক
মোহাম্মদ গফুর হোসেন। স্বত্বাধিকারী রিদম প্রকাশনা সংস্থ। বইমেলার সঙ্গে তাঁর ব্যবসায়িক সখ্যতা বিগত ২০ বছর যাবত। ব্যবসার হিসেবে বিকিকিনি কখনো বেশি কখনো বা কম। কিন্তু তাতে তার এতোটুকু দুঃখ নেই। ব্যবসার নিয়মেই ব্যবসা চলবে। কখনো বেশি কখনো কম হবে। মুনাফার পাশাপাশি লোকসানও গুনতে হবে এমনই ব্যবসায়িক সূত্রে বিশ্বাসী তিনি।
ব্যবসার রীতিই এটি। তাই বলে এতো লোকসান! কল্পনার বাইরে। যে লোকসানের কারণ বৃষ্টি। প্রকৃতির নিয়মে বৃষ্টি হবে ঠিক কিন্তু এবারের মতো বৃষ্টিতে আর কখনো এতো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়নি তাকে।
বৃহস্পতিবার বইমলোর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নিজের স্টলে বসে জাগো নিউজের কাছে এভাবেই বৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।
বুধবারের বৃষ্টিতে তার প্রকাশনার দুই শতাধিকের বেশি বই ভিজে গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এতে তার প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লোকসান হয়েছে বলেও দাবি করেন। তাছাড়া প্রতিবার মেলায় যে পরিমাণ বিকিকিনি ছিল তার স্টলে এবার তার অর্ধেকও নেই। কারণ মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিম কর্নারে তার স্টলটি পড়েছে। এর উপর আবার প্রকৃতির নিয়মে বৃষ্টি।
তিনি বলেন, যদি বাংলা একাডেমি গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত এসে একবারের জন্য খোঁজ নিতো তাহলেও দুঃখটা কম লাগতো। তারা একবারের জন্যও এসে খোঁজ নেয়নি।
কেবল তিনিই নন বৃষ্টিতে এভাবেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন আরো অনেকে। সবারই কম-বেশি ক্ষতি হয়েছে।
বাঁধন পাবলিকেশন্সের প্রকাশক শেখ শাহানুর আলম শাহী জাগো নিউজকে বলেন, আজ পর্দাও টানিনি যেন ভেতরে থাকা ভেজা বইগুলো শুকাতে পারে। স্টলের প্রায় ৩০০ বই ভিজে গিয়েছে। এতে আমার প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।
এমএইচ/এসএইচএস/আরআইপি