‘লেখক হওয়ার জন্য নয়, স্যারকে ভালোবেসেই বই লিখেছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১৭ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

অভিনেতা ফারুক আহমেদ। বাংলা নাটকের জগতে এক কিংবদন্তি। বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সবচেয়ে বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।

‘আজ রবিবার’ নাটকের মতি থেকে শুরু করে, ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’ নাটকের তৈয়ব চরিত্রেও দেখা গেছে তাকে। ফলে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে ছিল তার দীর্ঘদিনের পথচলা। আর সেসব স্মৃতি নিয়েই বই লেখেছেন ফারুক আহমেদ। নাম ‘স্মৃতিতে হুমায়ূন আহমেদ’।

‘লেখক হওয়া জন্য নয়, স্যারকে ভালোবেসেই বই লিখেছি’

বইয়ে ফুটে উঠেছে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দেশ-বিদেশে থাকার গল্প ও মুহূর্তগুলো। ক্যামেরার পেছনের আরও অনেক স্মৃতিও ঠাঁই পেয়েছে বইটিতে।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বইমেলায় কিংবদন্তী পাবলিকেশনে উপস্থিত ছিলেন এ অভিনেতা। নিজ হাতে অটোগ্রাফসহ পাঠকদের হাতে তুলে দেন বই। সেখানে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা হয় অভিনেতা ফারুক আহমেদের।

তিনি বলেন, হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে আমার সারাজীবনের যত স্মৃতি আছে; সেসব স্মৃতির কিছু অংশ নিয়ে লেখা হয়েছে বইটি। এছাড়া এতে মুক্তিযুদ্ধ, পারিবারিক জীবন, ঢাকা থিয়েটারের কিছু গল্প রয়েছে। এছাড়া স্যারের সঙ্গে বিদেশ যাওয়া, বিভিন্ন নাটক করার পেছনে অজানা গল্প ও কিছু স্মৃতি তুলে ধরেছি।

বই লেখার উদ্দেশ্য নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আসলে লেখক নই। স্যারের প্রতি ভালোবাসা থেকেই বই লিখেছি। এই বই ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। কিন্ত এতে আমার কোনো ব্যবসায়ীক উদ্দেশ্য নেই। স্যারের সঙ্গে দীর্ঘ পথচলা, আর আমার ক্যারিয়ারের সোনালি সময় স্যারের সঙ্গে থাকা এই অনুপ্রেরণাতেই বইটি লেখা।

‘লেখক হওয়া জন্য নয়, স্যারকে ভালোবেসেই বই লিখেছি’

‘লিলুয়া বাতাস’ নামে একটি উপন্যাস ফারুক আহমেদকে উৎসর্গ করেছেন হুমায়ূন আহমেদ। সেই স্মৃতিচারণ করে এই অভিনেতা বলেন, সেই অনুভূতি এখনো নাড়া দেয়। এত বড় মাপের একজন লেখক আমাকে বইটি উৎসর্গ করেছেন। এজন্য আমি তার কাছে সারাজীবন কৃতজ্ঞ। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

হুমায়ূন আহমেদের কতগুলো নাটকে অভিনয় করেছেন সেই সংখ্যাটা সঠিক জানা নেই ফারুক আহমেদের।

তিনি বলেন, আমার কাছে মনে হয় স্যার যতগুলো নাটক-সিনেমা করেছেন, অন্যান্য অভিনেতার চেয়ে আমিই সবচেয়ে বেশি অভিনয় করেছি। সেই নুহাশ পল্লীর দিনগুলো এখনো চোখে ভাসে। কাজ করতে গিয়ে এত স্মৃতি জমা হয়েছে, পাঠকরা বই পড়লেই বুঝতে পারবেন।

ফারুক আহমেদ বলেন, মেলায় এসে এখনো স্যারের বইয়ের জন্য পাঠকপ্রিয়তা দেখে আমি মুগ্ধ। তিনি বাংলাদেশের একজন কলম জাদুকর। পরবর্তী বছর আরেকটি বই লেখার ইচ্ছা আছে। সেখানে স্যারের সঙ্গে আরও কিছু স্মৃতি আছে, সেগুলো তুলে ধরবো।

আরএএস/জেডএইচ/এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।