আট বছর ধরে নাম্বার ওয়ান আমির খান

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৮ এএম, ১৬ মার্চ ২০২৫

ভারতের শোবিজে নেই তারকার অভাব। নানা প্রজন্মের স্টার সুপারস্টারে ভরপুর একটা সিনেমা শিল্প দেশটিতে। সিনেমা মুক্তি নিয়ে বছরজুড়েই চলে মাতামাতি। বক্স অফিস কাঁপিয়ে রাখেন তারকারা। চলে রেকর্ড ভাঙা গড়ার খেলা।

এমন প্রতিযোগিতাপূর্ণ একটি বাজারে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ধরে রাখা দারুণ এক চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। সেখানে গেল আট বছর ধরে বক্স অফিসে রাজত্ব ধরে রেখেছেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। এমনটাই দাবি করেছে কইমইডটকম।

তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যাকে বাদ দিয়ে বক্স অফিসের রেকর্ড নিয়ে কথা বলা অসম্ভব তিনি হলেন আমির খান। বলিউডে বক্স অফিস ক্লাবের ধারণা প্রথম শুরু করেন তিনিই। ২০০৮ সালে ‌‘গজনী’ সিনেমার মাধ্যমে ১০০ কোটি ক্লাবের যাত্রা শুরু করেছিলেন আমির। এরপর তার একের পর এক সিনেমা বক্স অফিসে সাফল্যের নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে।

৬০ বছর বয়সেও তার সিনেমা দর্শকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। চলে অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের প্রতিযোগিতা। যার বদৌলতে মোটা অংকের আয় ঘরে তুলে নেয় আমির খানের সিনেমাগুলো। ২০০৮ সালে ‘গজনী’ সিনেমার মাধ্যমে ১০০ কোটি ক্লাবের জন্ম দেন তিনি। এরপর তার ‘থ্রি ইডিয়টস’ দিয়ে ২০০ কোটি এবং ‘পিকে’ দিয়ে ৩০০ কোটি ক্লাবের যাত্রা শুরু হয়।

তবে সব গল্পকে থামিয়ে গেছে ‘দঙ্গল’ সিনেমাটি। এটি দিয়ে তিনি ২০০০ কোটি ক্লাবে প্রবেশ করেন যা ভারতীয় সিনেমার জন্য অনন্য এক ইতিহাস। ২০১৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দঙ্গল’ ছবির আয় আজ পর্যন্ত কোনো ভারতীয় সিনেমা আর টপকাতে পারেনি। বিশ্বব্যাপী আয়ের দিক থেকে ছবিটি এখনও অপরাজিত, আমির খান আছেন নাম্বার ওয়ান পজিশনে।

‘থ্রি আর’, ‘কেজিএফ ২’, ‘জওয়ান’ এবং ‘পুষ্পা ২’-এর মতো সিনেমা যথেষ্ট আয় করেছে। তবে কোনটিই ‘দঙ্গল’-কে ছুঁতে পারেনি। ‘পুষ্পা ২’ প্রায় ১৮০০ কোটি আয় করে ভালোই সম্ভাবনা তৈরি করেছিল। তবে এখনো নতুন রেকর্ড গড়তে পারেনি আল্লু-রাশমিকা জুটির সিনেমাটি।

এদিকে আমির খান অভিনীত ‘সিতারে জমিন পার’ সিনেমাটি মুক্তির অপেক্ষায় আছেন। ধারণা করা হচ্ছে এই সিনেমাটিও দর্শক টানবে।

এলআইএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।