‘কান্তারা’র বিরুদ্ধে ভয়াবহ অভিযোগ, তুলুনাড়ুতে বিক্ষোভ
পূজা উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে ঋষভ শেঠি নির্মিত ও অভিনীত ‘কান্তারা চ্যাপ্টার ১’। মাত্র সাত দিনেই ৪৫০ কোটি রুপি ব্যবসা করেছে সিনেমাটি। দক্ষিণের পাশাপাশি হিন্দি অঞ্চলের বক্স অফিসেও অব্যাহত ‘কান্তারা চ্যাপ্টার ১’র সাফল্য যাত্রা।
২০২২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমার মতো এক্ষেত্রেও দর্শক, চলচ্চিত্র সমালোচকরা ঋষভের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। দলে দলে প্রেক্ষাগৃহ আসছেন চলচ্চিত্রপ্রেমীরা। তবে ব্যবসার অংকে বিশ্বেজুড়ে সাফল্য যাত্রা চললেও ‘কান্তারা চ্যাপ্টার ১’ দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছেন দৈব উপাসকরা। সম্প্রতি কর্ণাটকের এক মন্দিরে তারা ব্যাপক মানুষের জমায়েত করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এখন চলছে বিক্ষোভ।
দৈব উপাসকদের অভিযোগ, কোটি কোটি মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে ব্যবসা করছে ঋষভ শেঠি নির্মিত তথা অভিনীত এ সিনেমা। জানা গেছে, ‘কান্তারা’র বিরুদ্ধে ‘সাংস্কৃতিক দূষণে’র অভিযোগ তুলে কর্ণাটকের উপকূলবর্তী অঞ্চল তুলুনাড়ুতে ব্যাপক বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সিনেমায় দৈব উপাসক কিংবা দৈব নৃত্যশিল্পীদের চরিত্র চিত্রায়ণ নিয়েই আপত্তি তুলেছেন তারা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, পর্দায় ঈশ্বরের প্রাচীন পূজাপদ্ধতি ‘ধইবর্ধনে’ (ভুটা কোলা) নৃত্যকলা দেখে দর্শকদের একাংশ তাকে বিকৃত কিংবা উপহাস করার চেষ্টা করছেন। জানা গেছে, কর্ণাটক এবং কেরালায় তুলু ভাষাভাষীর মানুষেরা ঈশ্বরকে তুষ্ট করতে পূজার সময় এই নৃত্যশৈলী অনুসরণ করেন। আর সিনেমার পর্দায় সেই নৃত্যশৈলী দেখে সেটা অনুকরণ করার চেষ্টা করছেন একাংশ। কয়েকদিন আগে দৈব সাজে ‘কান্তারা’ দেখতে এসে কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন এক অনুরাগী। এবার ঋষভের সিনেমার বিরুদ্ধে একজোট কর্ণাটকের দৈব উপাসকরা।
আরও পড়ুন:
বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে ‘কান্তারা ২’
দর্শক মাতাচ্ছে ‘কান্তারা’, তিন দিনে কত আয় করেছে সিনেমাটি
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ব্যাঙ্গালুরুর বাজপের কাছে পেরারা ব্রহ্মা বলবন্দি এবং পিলিচন্ডির মন্দিরে ‘দৈবরাধাকস’রা (দৈব উপাসক) সম্মিলিতভাবে ‘কান্তারা চ্যাপ্টার ওয়ান’র বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দৈব নর্তন (দেবতার নৃত্য), পাঞ্জুরালি, গুলিগা থেকে পিলিদৈবের মতো দেবতাদের উল্লেখ এবং দৈব আবেশার (ঈশ্বরের ভব) দৃশ্য দেখিয়ে এ সিনেমায় প্রাচীন আধ্যাত্মিক অনুশীলনের উপহাস করা হয়েছে। দৈব নৃত্যশিল্পী এবং উপাসকরা এই প্রতিবাদী সভায় যোগ দিয়ে ‘কান্তারা চ্যাপ্টার ১’র বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র মন্দিরে জমা দিয়েছেন।
এমএমএফ/এএসএম