করোনাজয়ী ঈদের গান ‘ক্ষমা চেয়েছি’
ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশি। কিন্তু এবারের ঈদের পেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন। বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাস আমাদের কাছ থেকে আনন্দ কেড়ে নিয়েছে। আমরা আর আগের মতো খোলা আকাশের নিচে ইচ্ছামতো নিশ্বাস নিতে পারছি না। পারছি না চায়ের দোকানে বন্ধুরা মিলে হাসি-গল্পে মেতে উঠতে। প্রাণখোলা আড্ডা দিতে।
বাবা-মা থেকে সন্তান দূরে সরে যাচ্ছে। মানুষ, মানুষকে ভয় পাচ্ছে। ঠিক এমনি সময় করোনা এবং ঈদ নিয়ে গীতিকবি লক্ষ্মণের কথায় এস কে সমীরের সুর ও সংগীতে কণ্ঠশিল্পী জয়ের ‘ক্ষমা চেয়েছি’ শিরোনামের একটি মিউজিক ভিডিও বাজারে নিয়ে এসেছে আই গ্লাস মিউজিক ইউটিউব চ্যানেল। ইতোমধ্যে ইউটিউবে গানটি দারুণ সাড়া ফেলেছে।
গানটি প্রসঙ্গে গীতিকার লক্ষ্মণ বলেন, গানটা লেখা মূলত ঈদ ও করোনাভাইরাসকে নিয়ে। একদিকে যেমন মুসলিম ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব ও সিয়াম সাধনার মাস। এদিন মানুষ সমস্ত দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে মানুষকে বুকে টেনে নেয়ার দিন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে আমরা মানুষ, মানুষ থেকে দূরে চলে যাচ্ছি। সন্তান তার মায়ের কাছে যেতে পারছে না। ঈদের জামাত শেষে কেউ কারো সঙ্গে কোলাকুলি করতে পারছে না। আত্মীয়-স্বজন কেউ কারও বাড়ি যেতে পারছে না। খোলা মন নিয়ে কেউ কারও কাছে যেতে পারছে না। সবকিছুর মধ্যে একটা ভয় কাজ করছে। সেই ভাবনা থেকেই গানটা লেখা।
মূলত আমরা বিধাতার কাছে প্রার্থনা করছি গানের সুরে সুরে। এই মহমারি থেকে তিনি যেন আমাদের রক্ষা করেন— বলেন গীতিকার লক্ষ্মণ।
কণ্ঠশিল্পী জয় বলেন, শিল্পী হিসেবে আমারও একটা দায়বদ্ধতা আছে। এই করোনাকালে কেউই আমরা ঘর থেকে বের হতে পারছি না। না পারছি খোলা মাঠে বুক ভরে নিশ্বাস নিতে, না পারছি গলা ছেড়ে গান করতে। যেহেতু গানের কথাগুলো সমসাময়িক ও বাস্তবধর্মী; তাই আমার কাছে মনে হয়েছে এই নিরানন্দ সময়ে গানটির মাধ্যমে কিছুটা হলেও মানুষকে আনন্দ দিতে পারব। গানটি শুনতে নিচের ইউটিউব লিঙ্কে ক্লিক করুন।
এমএআর/পিআর