আবারও ম্যানক্যাডিংয়ের চেষ্টা উইন্ডিজ যুবাদের
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ম্যানক্যাডিং করে লজ্জাজনক জয় পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের যুব ক্রিকেটাররা। ক্যরিবীয় যুব দলের ক্রিকেটার কেমু পলের সেই ম্যানক্যাডিং দারুণ সমালোচনার তৈরী করেছিল ক্রিকেট বিশ্বে। সাবেক থেকে বর্তমান- কোন ক্রিকেটারই যেন বাদ গেলেন না এর পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নেয়া থেকে। অধিকাংশই আখ্যা দিয়েছেন যে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ লজ্জাজনক জয় দিয়েই উঠেছে কোয়ার্টার ফাইনালে। আউটটা বৈধ হলেও নৈতিক দিক থেকে মোটেও এটা সমর্থণযোগ্য নয়।
সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজই আবারও ম্যানক্যাডিং করার চেষ্টা করলো বাংলাদেশের বিপক্ষে সেমিফাইনালে। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেমিফাইনালেই ঘটতে যাচ্ছিল এমন ঘটনা। টস জিতে ব্যাট করছিল বাংলাদেশ।
তখন ৪২তম ওভারের খেলা চলছিল। বল করছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার গিডরন পোপ। স্ট্রাইকিং প্রান্তে রয়েছে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে রয়েছেন সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামাম মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ওভারের পঞ্চম বলটি করতে আসেন পোপ। এ সময় ক্রিজ ছেড়ে হালকা বেরিয়ে গিয়েছিলেন নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা সাইফুদ্দিন। হঠাৎ, বল ডেলিভারি না দিয়ে পোপ চেষ্টা করেন ম্যানক্যাডিং করে সাইফুদ্দিনের স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়ার। তবে, তার অভিপ্রায় বুঝতে পেরেই হয়তো, আগেই ক্রিজে ব্যাট রেখে নিজেকে রক্ষা করেন বাংলাদেশের এই ব্যাটসম্যান।
শেষ পর্যন্ত মিরাজ আর সাইফুদ্দিন মিলে গড়েন ৮৫ রানের জুটি এবং বাংলাদেশকে পৌঁছে দেন ২২৬ রানের চূড়ায়।
আইএইচএস/আরআইপি