মুগ্ধতায় সাঙ্গ হলো বাউল করিম উৎসব


প্রকাশিত: ০৭:২২ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

ভক্ত ও গুণগ্রাহীদের ভালোবাসা ও মুগ্ধতায় শেষ হলো হলো তিন দিনব্যাপী বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উৎসবের সিলেট পর্ব। উৎসবের শেষদিনে সংগীত পরিবেশন করে উপস্থিত শ্রোতাদের প্রাণ আন্দোলিত করে ভারতের প্রখ্যাত লোকগানের দল ‘দোহার’।

গেল শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘আসি বলে গেলো বন্ধু আইলো না’ ও ‘বসন্ত বাতাসে সইগো, বসন্ত বাতাসে’ গানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় শেষ দিনের পরিবেশনা।

আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন ড. রাজীব কর, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন ও তাড়লের চেয়ারম্যান নুরুল হক তালুকদার।

পরে বাউল শাহ আবদুল করিমের জীবন ও দর্শনের উপর প্রখ্যাত নির্মাতা শাকুর মজিদ নির্মিত তথ্যচিত্র ‘ভাটির পুরুষ’ প্রদর্শিত হয়।

শেষ দিনে বাউল শাহ আবদুল করিমের সংগীত পরিবেশন করেন সিলেটের লোকসংগীত শিল্পী জামাল উদ্দিন হাসান বান্না, বাউল কালা মিয়া, বাউল সূর্যলাল, মিতালী চক্রবর্তী, অরুণ কান্তি তালুকদার, মীনাক্ষী দেব, তন্বী দেব, কাকলী দত্ত মুন্নী, আবুল কালাম আজাদ, তানজীদা হক তালুকদার।

এছাড়াও দলীয় সংগীত পরিবেশন করে সুনামগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি এবং নৃত্য পরিবেশন করে একাডেমি অব মনিপুরী কালচার এন্ড আর্টস।

তবে শেষ দিনের আকষর্ণ ছিলো কলকাতার লোকগানের দল ‘দোহার’। তারা মঞ্চে ওঠে রাত সাড়ে ৮টায়। উপস্থিত হাজারো দর্শককে বিমোহিত করে তারা পরিবেশন করে বাউল করিমের গান বেশ কয়টি। তাদের পরিবেশনার মধ্যে দিয়ে রাত সাড়ে ১০টায় শেষ হয় বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম জন্মশতবার্ষিকী উৎসব।

প্রসঙ্গত, শাহ্ আবদুল করিম জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় পর্ষদের উদ্যোগে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও সিলেট উৎসব কমিটির ব্যবস্থাপনায় গেল বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে উৎসব উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, এমপি।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সুরকার সুজেয় শ্যাম ও শাহ আবদুল করিম জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন জাতীয় পর্ষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ।

ছামির মাহমুদ/এলএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।