ভালোবাসা দিবসে যে বার্তা দিলেন জয়া আহসান

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৪ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

সবার মনে বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে। সেই সঙ্গে আজ (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। সবার মতো অভিনেত্রী জয়া আহসানও মেতেছেন এই উৎসবে।

বসন্তের ছোঁয়ায় নিজেকে মেলে ধরে কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন জয়া আহসান। সেই ছবিগুলোকে ঘিরে ভক্তরা শুভেচ্ছায় ভাসাচ্ছেন প্রিয় অভিনেত্রীকে।

আজ (১৪ ফেব্রুরিয়া) তার ফেসবুকে জয়া ভালোবাসার বার্তা দিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে তিনি লিখেছেন, ‘কাল ছিল বসন্তের শুরু। আজ ভ্যালেন্টাইন। ভালোবাসার সঙ্গে রাখি বেঁধে রাখা দুটি দিন। কোনো একটি দিনেই সরবে ঘোষণা দিয়ে ভালোবাসার কথা হবে, হয়তো সে কথা বড্ডই অকিঞ্চিৎকর। ভালোবাসা তো চির বসন্তের মতো সব সময়েই আমাদের মনে জাগিয়ে রাখার কথা। সেটাই সঙ্গত।

আরও পড়ুন: জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূত হলেন জয়া আহসান

তবু হিংসায় উন্মত্ত এই পৃথিবীতে একটি দিনও নিজেদের ভালোবাসার প্রয়োজনের কথা, ভালোবাসার মানুষকে মনে করার কথা মন্দ কী!’

জয়া মনে করেন, ভালোবাসা হচ্ছে শুধু নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসা দিয়ে যাওয়া। সেই ভালোবাসা দেওয়ার মধ্যেই আনন্দ নিহিত। এই প্রসঙ্গে দুই বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘ভালোবাসার মধ্যে আছে কাউকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেওয়ার আনন্দ। এই যে নিজের চেয়ে আরেকজনকে বড় করে ভাবা, আরেকজনের আনন্দের মধ্যে নিজের আনন্দকে পাওয়া, আরেকজনকে দিয়ে নিঃশেষ হয়েও নিজেকে পূর্ণ বলে অনুভব করা—ভালোবাসাই তো সেটা দিতে পারে। ভালোবাসাই নিঃস্বার্থভাবে সবচেয়ে বড় শিক্ষক।’

ভালোবাসা এই পৃথিবী থেকে সব বেদনা ক্লান্তি দূর করতে পারে। ভালোবাসা পারে পৃথিবীকে বসবাসের উপযোগী করতে। সেই ভালোবাসা শেখার কথা বলেছেন জয়া। যে ভালোবাসায় পৃথিবীর বেদনার বড় ছায়াটা সরে যায়।

আরও পড়ুন: যেভাবে অভিনেত্রী হয়ে উঠলেন জয়া আহসান

তিনি লিখেছেন, ‘ফুটপাতে যে বৃদ্ধাটা রাতের বেলা শীতে কাঁপছে, তার জন্য ভালোবাসা; বখাটেদের হাতে লাঞ্ছিত যে কিশোরীটি ঘরের কোণে আত্মহত্যায় উদ্যত, তার জন্য ভালোবাসা; ভূমিকম্পের তুরস্কে মা-বাবাকে হারানো যে সদ্যোজাত শিশুটি ভগ্নস্তূপ থেকে উদ্ধার পেল, তার জন্য ভালোবাসা, মন্দির চূর্ণ করে দেওয়ার পর সেখানে মাথা ঠুকছেন যে পূজারি, তার জন্য ভালোবাসা। আমরা ভালোবাসি।’

এমআই/এমএমএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।