ধামরাইয়ে শিক্ষা কর্মকর্তার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন
ধামরাই উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দৌলতর রহমানকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি মোয়াদ্দেস হোসেনের অনুসারীর শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ধামরাই উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই মানববন্ধন করা হয়।
এর আগে গত সোমবার নিজের পছন্দের বিদ্যালয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ না দেয়ায় ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে নিজ কার্যালয়ে মারধর করেন মোয়াদ্দেস হোসেন। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার মোয়াদ্দেস হোসেনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দৌলতর রহমান।
এদিকে, মানববন্ধনের ব্যানারে আয়োজক হিসেবে উপজেলা শিক্ষক সমিতির নাম উল্লেখ থাকলেও শিক্ষক সমিতির কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন না। শুধুমাত্র মোয়াদ্দেস হোসেনের অনুসারী উপজেলার ৪টি বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও যুবলীগ কর্মীরা এতে অংশ নেন। এমনকি স্বয়ং মোয়াদ্দেস হোসেনকেও দেখা যায়নি মানববন্ধনে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি-৩ এর আওতায় ধামরাই উপজেলার ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রতিটি বিদ্যালয় ওই প্রকল্প থেকে তিন লাখ টাকা বরাদ্দ পাবে।
এজন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে বিদ্যালয়ের তালিকা পাঠানোর জন্য চিঠি পাঠান। চিঠি পাওয়ার পর চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান মিলে ১৪টি বিদ্যালয়ের তালিকা প্রস্তুত করে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে পাঠান।
কিন্তু স্থানীয় সংসদ সদস্য এমএ মালেক তালিকাটি পর্যালোচনা করে চারটি বাদে ১০টি বিদ্যালয়কে প্রকেল্পর জন্য নির্বাচিত করেন। এমএ মালেক যে চারটি বিদ্যালয়কে তালিকা থেকে বাদ দেন ওই চারটি বিদ্যালয় ছিল যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোয়াদ্দেস হোসেনের পছন্দের বিদ্যালয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়েই শিক্ষা কর্মকর্তাকে তার নিজ কার্যালয়ে মারধর করেন যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোয়াদ্দেস হোসেন।
আল-মামুন/এসকেডি/এবিএস