বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে সংস্কৃতায়নের আলোচনা অনুষ্ঠান
![বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে সংস্কৃতায়নের আলোচনা অনুষ্ঠান](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/ru-1-20240318133701.jpg)
গতকাল ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস এবং ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য-সংগীত-চারু ও কারু-নৃত্য-চলচ্চিত্র ভিত্তিক সাংস্কৃতিক আয়তন সংস্কৃতায়ন এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়েই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
আরও পড়ুন:
- নিপুণের প্যানেলের সভাপতি নায়ক মাহমুদ কলি
- জাতির পিতার জন্মদিনে ফিল্ম আর্কাইভের আয়োজন
- ভালো নেই ওস্তাদ নিয়াজ মোহাম্মদ চৌধুরী
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতায়নের সচিব ও নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক সুখন সরকার। তিনি বলেন বাংলা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে, ১৭ এবং ৭ মার্চ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। ১৭ মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তির দূত বঙ্গবন্ধুর জন্ম আর বাঙালি আপামর জনতাকে ঐক্যবদ্ধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধকরণে ৭ মার্চ দিনটি খুব তাৎপর্যমণ্ডিত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক (অব.) মুহম্মদ নূরুল্লাহ্। বঙ্গবন্ধু, বাঙালি জাতিরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ আখ্যানে তিনি ৭ মার্চের যে গুঢ়ার্থ নিহিত রয়েছে তা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, একটি জাতিরাষ্ট্র গঠনের জন্য একটা উই (আমরা) অনুভূতি কাজ করতে হয়, যেটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় কাজ করেছিল যুদ্ধকে জনযুদ্ধে পরিণত করতে। আর এই ‘আমরা ও আমাদের’ অনুভূতিটি তৈরি করতে পেরেছিলেন বাংলার খোকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বঙ্গবন্ধুর সাথে সাধারণ জনতার একটি ইশারায় যুদ্ধের প্রস্তুতির আহবান। তিনি ভাষণে সরাসরি যুদ্ধের কথা না বললেও বাংলার আপামর জনতা বুঝে যায় তাদের মুক্তির একমাত্র পথ যুদ্ধ।
বিশ্ব জনমত অর্জনে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে সরাসরি যুদ্ধ শব্দটি এড়িয়ে যান বলে অভিমত ব্যক্ত করেন অধ্যাপক মুহম্মদ নূরুল্লাহ্। তিনি বলেন, জুলিও কুরি পুরস্কার গ্রহণের পর রেসকোর্স ময়দানে বক্তব্য শেষে বঙ্গবন্ধুর সাথে তার হাতের হ্যান্ডশেকের হাতের স্পর্শ এখনো তাকে স্মৃতিকাতর করে।
এরপর সমাপনী বক্তব্যে সবাইকে বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শ লালনের আশাবাদ ব্যক্ত করে উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম আরিফুল ইসলাম অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দ, সমকাল নাট্যচক্র, রুডা, বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার এবং সংস্কৃতায়নের বিভিন্ন সংগঠনের কর্মী ও নেতৃবৃন্দ এবং ভাস্কর্য ও মৃৎশিল্প বিভাগের অধ্যাপক ঋতেন্দ্র কুমার শর্মা, লাইলা আর্ট স্কুলের অধ্যক্ষ ড. রবীন্দ্রনাথ দাস, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. মামুনূর রশীদ সরকার মাসুদ, অধ্যাপক অমিত কুমার দত্ত প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এমআই/এমএমএফ/জেআইএম