যে গ্রামে মানুষ পশু-পাখি সবাই অন্ধ
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে নানান রহস্য। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও তার অনেক কিছুই আমাদের অজানা। তবে এই প্রযুক্তির দুনিয়ায় বেশি দিন আর লুকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি তা। এমনই এক রহস্য সামনে আসে যা দেখে হতবাক হয়েছিল সবাই।
মেক্সিকোর টিলটেপেক নামের একটি গ্রামের সবাই অন্ধ। এমনকি সেখানকার গৃহপালিত পশু-পাখিও দৃষ্টিহীন। অনেকেই বলেন অদ্ভূত এই গ্রামটি অভিশপ্ত। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন অন্যকথা। মধ্য আমেরিকার দেশ মেক্সিকোর টিলটেপেক গ্রামে বাস করেন জাপোটেক নামের এক উপজাতী গোষ্ঠী।
পুরো গ্রামে মাত্র ৭০টি কুঁড়েঘরে ৩০০ মানুষের বাস। এরা সবাই শিশু থেকে বৃদ্ধ কেউই চোখে দেখতে পান না। তবে জন্ম থেকেই তারা দৃষ্টিহীন নয়। আর পাঁচটা গ্রামের মতোই এ গ্রামের নবজাতকেরা সুস্থ-সবল শরীরেই ভূমিষ্ট হয়। তবে জন্মের সপ্তাহ খানেকের মধ্যে তারা হারিয়ে ফেলে দৃষ্টিশক্তি!
আরও পড়ুন: ২৩ বছর ধরে টয়লেট পেপার খাচ্ছেন এই নারী
গ্রামবাসীরা মনে করেন দেব-দেবী বা কালো শক্তির অভিশাপেই এমনটা হয়েছে। আবার কিছু গ্রামবাসী বিশ্বাস করেন লাবজুয়েলা নামের এক ধরনের স্থানীয় গাছ এই একগ্রামে অন্ধত্বের জন্য দায়ী। ‘শয়তান গাছে’র কারণেই কালো দুঃস্বপ্নে বন্দি টিলটেপেক।
এরই মধ্যে ওই গাছ নিয়ে গবেষণা সেরে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের দাবি, লাবজুয়েলা গাছই যে অন্ধত্বের কারণ, এমন প্রমাণ মেলেনি। ফলে টিলটেপেক গ্রামের সকল বাসিন্দাদের অন্ধ হওয়ার কারণ কী তা জানতে বিজ্ঞানীদের কৌতুহল আরও বাড়তে থাকে।
এরপর টিলটেপেক গ্রামের সবার এভাবে হঠাৎ অন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে গবেষণাও শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, টিলটেপেক গ্রামটি ঘন জঙ্গলে ঘেরা হওয়ায় ‘ব্ল্যাক ফ্লাই’ নামের এক বিষাক্ত প্রজাতির মাছির উপদ্রব রয়েছে এখানে। আর সেই মাছির কামড়ে শৈশবেই দৃষ্টিশক্তি হারান এই গ্রামের বাসিন্দারা।
সূত্র: জুমনিউজ
কেএসকে/এএসএম