সসে ডুবিয়ে টুথপিক ভাজা খাচ্ছেন কোরিয়ানরা

ফিচার ডেস্ক
ফিচার ডেস্ক ফিচার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫২ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

দেশে দেশে খাবারের রয়েছে নানান বৈচিত্র্যতা। কোথাও কেউ খাচ্ছেন পোকামাকড় ভাজা, কোথাও বা পাথর সস-মসলায় মিশিয়ে রান্না করা হয়। তবে এবার কোরিয়ানরা নতুন এক খাবারে মজেছেন। সেটি হচ্ছে টুথপিক ভাজা। শুনে অবাক লাগলেও এমনই এক খাবার দক্ষিণ-কোরিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

টুথপিক খাওয়ার ‘ট্রেন্ড’ শুরু হয়েছে সেই দেশে। কোরিয়ার নাগরিকরা এখন গরম তেলে টুথপিক ভেজে তাতে সস বা চিজ মাখিয়ে খাচ্ছেন। কেউ কেউ এই খাওয়ার ভিডিও টিকটক ও ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় দেদার পোস্ট করছেন। কেউ আবার রান্না করে দেখিয়ে দিচ্ছেন কীভাবে এই সুস্বাদু টুথপিকভাজা বানাতে হয়। টুথপিক খাওয়ার এই হিড়িক দেখেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসন!

আরও পড়ুন: ইশারায় বিক্রি হয় পলাশের ভেলপুরি

সাধারণত দাঁতের ফাঁকে খাবার আটকে গেলে তা টুথপিক দিয়ে বার করতে হয়। এটাই টুথপিকের কাজ। তবে কোরিয়াতে খাবার খাওয়ার কাজেও এটি ব্যবহার করা হয়। চপস্টিকসের মতোই ওখানে চল রয়েছে টুথপিকের। টুথপিকভাজাতেই মজে রয়েছেন অধিকাংশ কোরিয়ান নেটিজেন। ভাইরাল ভিডিওগুলোতে বিচিত্র সব ক্যাপশন রয়েছে। তাতে নেটিজেনরা জানাচ্ছেন টুথপিকভাজা খেতে বেশ মচমচে, সুস্বাদু।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, টুথপিক তেলে ভেজে নিয়ে খাচ্ছেন কোরিয়ানরা। অনেকে এর সঙ্গে সিজনিং-এর জন্য পাউডার চিজ রাখছেন। আবার কেউ কেউ টুথপিক রঙবেরঙের করে তুলতে এতে সবুজ রংও মেশাচ্ছেন। ভাজার পর এগুলো বাচ্চাদের প্রিয় ফ্রায়েড লম্বা চিপসের মতো দেখতে। যা দেখলে জিভে জল আসা খুব অস্বাভাবিক নয়। তবে হ্যাঁ, এটি খেয়ে পেট খারাপের আশঙ্কাও রয়েছে। তেমনটাই ইঙ্গিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার খাদ্যসুরক্ষা মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন: সসে ডুবিয়ে জীবন্ত অক্টোপাস খাওয়া জনপ্রিয় যেখানে

সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার খাদ্যসুরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে টুথপিক খেতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। তারা বলছেন খাবার হিসেবে টুথপিক নিরাপদ কি না তা এখনও যাচাই করে দেখা হয়নি। তাই এগুলো খাওয়া ঠিক নয়। টুথপিক সাধারণত দাঁত খুঁচিয়ে দাঁতের ময়লা বার করতেই কাজে লাগে। কিন্তু এটি যে দিব্যি চিবিয়ে চিবিয়ে খাওয়া যায়, তা অনেকেই কল্পনা করতে পারেন না।

সূত্র: ইউএসএ ডেইলি

কেএসকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।