বিএসএমএমইউর নতুন নাম বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১২ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২৫

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করতে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে অধ্যাদেশের খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যে এতে বলা হয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এ অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তিত হয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হবে।

চিকিৎসা শিক্ষায় স্নাতকোত্তর কোর্সের জন্য ১৯৬৫ সালে ঢাকায় ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ (আইপিজিএমআর) প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন থেকে সবার কাছে এটি পিজি হাসপাতাল নামে পরিচিত ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৮ সালে এ ইনস্টিটিউটকে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করে এর নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে।

গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের দিনেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামফলক থেকে বঙ্গবন্ধু শব্দটি খুলে ফেলে বিক্ষুব্ধ জনতা। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামফলক সরিয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নামে ব্যানার টাঙিয়ে দেন ছাত্ররা। এরপর বিশেষায়িত এ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এ অধ্যাদেশের মাধ্যমে শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার নাম পরিবর্তিত হয়ে খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হবে।

এ ছাড়া ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট এর নাম পরিবর্তিত হয়ে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হবে।

খরচ কমাতে জাতীয় যুব দিবস ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস একই দিনে ১২ আগস্ট উদ্‌যাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিবছর ১ নভেম্বর তারিখে দেশব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় যুব দিবস উদ্‌যাপন করা হয়। ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্তে প্রতি বছর ১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস উদ্‌যাপনের সূচনা হয়।

‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস ও জাতীয় যুব দিবসে গৃহীত কার্যক্রম প্রায় সমধর্মী হওয়ায় সরকারি ব্যয় সাশ্রয়ের লক্ষ্যে উপদেষ্টা পরিষদ জাতীয় যুব দিবস ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস একত্রে ১২ আগস্ট উদ্‌যাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২০-২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মেয়াদে প্যারিসে ইউনেসকো সদরদপ্তরে ইউনেসকো কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশ নেবে।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ইউনেস্কোর মাধ্যমে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে নৌকা, জামদানি শাড়ি এবং টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়িকে বিশ্বব্যাপী পরিচিত করার উদ্যোগ নেবে বলে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আরএমএম/এমএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।