মরণোত্তর চক্ষুদান নিয়ে সেমিনার

জুলাই আহতদের জন্য বিদেশ থেকে কর্নিয়া আনা হয়

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:০৬ এএম, ২৮ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশ বিশাল জনগোষ্ঠীর দেশ হলেও এখানে মরণোত্তর চক্ষুদান ততটা জনপ্রিয় নয়। এখানে কর্নিায় সংগ্রহ করা কঠিন কাজ। কর্নিয়া প্রদানের অনেকে ওয়াদাবদ্ধ হলেও আত্মীয় স্বজন দিতে চায় না। অথচ বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে কর্নিয়া প্রয়োজন। সংকটের মধ্যে জুলাই আহতদের জন্য বিদেশ থেকে কর্নিয়া আনা হয়েছিল। সেকারণে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের কথা বলছেন চিকিৎসকরা।

সোমবার (২৮ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যৌথভাবে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট (এনআইও), বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতি এবং বাংলাদেশ কর্নিয়া ও রিফ্রাক্টিভ সোসাইটি এনআইও মিলনায়তনে মরণোত্তর কর্নিয়া দানে উদ্বুদ্ধকরণে সায়েন্টিফিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

এতে মরণোত্তর চক্ষুদান নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দেন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক অধ্যাপক ডা. আব্দুল কাদের। তিনি দেশে মরণোত্তর চক্ষুদান নিয়ে অতীত ইতিহাস, সংকট ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা তুলে ধরেন। আমাদের কেমন কর্নিয়া প্রয়োজন। কী কী উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন তাও তুলে ধরেন।

jagonews24

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান তার বক্তব্যে মানুষকে মরণোত্তর চক্ষুদানে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহতদের জন্য বিদেশ থেকে কর্নিয়া আনা হয়েছে। বিশাল জনসংখ্যার দেশে আমাদের ভালো আই ব্যাংক নেই। আমাদের পর্যাপ্ত কর্নিয়া সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। এজন্য সরকার, চিকিৎসক সমাজ ও দেশের মানুষকে উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর মধ্য বয়সীদের এগিয়ে আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।

এসময় অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহতদের চিকিৎসায় নিরলস শ্রম দেওয়ার জন্য চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক খায়ের আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চক্ষু চিকিৎসক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক শাহাব উদ্দিন, বাংলাদেশ কর্নিয়া সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. সারোয়ার আলম, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রেজওয়ানুর রহমান সোহেল, সহকারী অধ্যাপক যাকিয়া সুলতানা নীলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসইউজে/এসএনআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।