২০২০ সালের তুলনায় ২০২১–এ করোনায় মৃত্যু প্রায় তিনগুণ!
মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের তুলনায় সদ্যসমাপ্ত বছর ২০২১ সালে অতিরিক্ত প্রায় ১৩ হাজার রোগীর মৃত্যু হয়। দেশে ২০২০ সালের ৮ মার্চ প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। ওই বছরের ১৮ মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্য়ন্ত করোনায় ৭ হাজার ৫৫৯ জন রোগীর মৃত্যু হয়। সদ্য সমাপ্ত ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্য়ন্ত ২০ হাজার ৫১৩ জনের মৃত্যু হয়। সে হিসেবে ২০২১ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১২ হাজার ৯৫৪ বা প্রায় ১৩ হাজার বেশি মৃত্যু হয়।
২০২১ সালে মোট মৃত্যু ২০ হাজার ৫১৩ জনের মধ্যে জুলাই ও আগস্ট— এ দুই মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১১ হাজার ৬৯২ জনের (৫৭ শতাংশ) রোগীর মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্য়ন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে মোট ১ কোটি ১৪ লাখ ৯১ হাজার ৪৮৮টি নমুনা পরীক্ষায় ১৫ লাখ ৮৫ হাজার ৫৩৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত, ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ১০১ জন সুস্থ এবং ২৮ হাজার ৭২ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ২০২০ সালের ৮মার্চ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্য়ন্ত সময়ে ৩২ লাখ ২৭ হাজার ৫৯৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৫ লাখ ১৩ হাজার ৫১০ জন শনাক্ত, ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৪৫৯ জন সুস্থ এবং ৭ হাজার ৫৫৯ জনের মৃত্যু হয়।
সদ্যসমাপ্ত ২০২১ সালে মোট করোনায় মৃত্যু ২০ হাজার ৫১৩ জনের মধ্যে জানুয়ারিতে ৫৬৮ জন, ফেব্রুয়ারিতে ২৮১ জন, মার্চে ৬৩৮ জন, এপ্রিলে ২ হাজার ৪০৪ জন, মে মাসে ১ হাজার ১৬৯ জন, জুনে ১ হাজার ৮৮৪ জন, জুলাইয়ে ৬ হাজার ১৮২ জন, আগস্টে ৫ হাজার ৫১০ জন, সেপ্টেম্বরে ১ হাজার ৩১৫ জন, অক্টোবরে ৩৫৮ জন, নভেম্বর ১১৩ জন ও ডিসেম্বেরে ৯১ জনের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ল্যাব কল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৫ এপ্রিল সর্বনিম্ন ৩২০টি ও ২০২১ সালের ৩ আগস্ট সর্বোচ্চ ৫৭ হাজার ২৯৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ২০২০ সালের ২১ মার্চ সর্বনিম্ন ৩৬টি ও ২০২১ সালের ৩ আগস্ট সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার ২৮৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়। ২০২০ সালের ৩০ মার্চ সর্বনিম্ন একজন রোগী ও ২০২১ সালের ২৮ জুলাই সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জন রোগী শনাক্ত হয়। ২০২০ সালের ১ এপ্রিল সর্বনিম্ন একজন ও ২০২১ সালের ৮ আগস্ট সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৬২৭ জন রোগী সুস্থ হন। ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। একই বছরের ৫ আগস্ট ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়।
সূত্র আরও জানায়, ২০২০ সালের ৩০ মার্চ শনাক্তের হার সর্বনিম্ন শূণ্য দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং ২০২১ সালের ২৪ জুলাই সর্বোচ্চ ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়। ২০২০ সালের ২ মে সর্বনিম্ন ২ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ এবং ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর ৯৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়। ২০২০ সালের ৪ জুলাই সর্বনিম্ন ১ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ৮২ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়।
এমইউ/এমএএইচ/জেআইএম