কাগজ না থাকলেও টিকা পাবে শিশুরা
১২ বছর ও তার বেশি বয়সী শিশুদেরও করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক। সে ক্ষেত্রে কাগজপত্র (বয়স প্রমাণের) না থাকলেও তাদের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) মিলনায়তনে করোনা টিকা এবং করোনা পরিস্থিতি বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে আমরা ১২ বছর বয়সীদেরও টিকা দেবো। আগে শুধু স্কুলশিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই বয়সসীমা ছিল, এখন শিক্ষার্থী ছাড়াও বাকি সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। ১২ বছরের মাদরাসাশিক্ষার্থীরাও এখন টিকা পাবে।
শিশুদের টিকা প্রয়োগ পদ্ধতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, টিকা কার্যক্রম বর্তমানে যেভাবে চলছে, সে পদ্ধতিতেই ১২ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে। কেন্দ্রে গেলেই টিকা পাবে। যদি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারে, তাহলেই আমরা টিকা দেবো। কিছু দেখাতে না পারলেও আমরা তাদের ফেরত দেবো না।
তিনি বলেন, কাগজপত্র (যেমন: জন্মসনদ) না থাকলে কেন্দ্রে টিকাকার্ড বানিয়ে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছর করা হয়েছে, বাংলাদেশেও এমন কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছর করার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আমাদের আলাপ হয়েছে। তারা পর্যালোচনা করে আমাদের জানাবে বলে জানিয়েছে। তাদের বার্তা পেলেই টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছরে নামিয়ে আনা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ৫০ বছর পর্যন্ত বুস্টার ডোজ দিচ্ছি। কিন্তু আমরা খুব বেশি পরিমাণ সাড়া পাচ্ছি না। এখন পর্যন্ত খুবই কম সংখ্যক মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। তাই এখন থেকে ৪০ বছরেও পাবে বুস্টার ডোজ। আমাদের হাতে এখন নয় কোটি টিকা রয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হকসহ আরও অনেকে।
এএএম/ইএ/এমএস
