এক সপ্তাহে করোনার সব সূচকই নিম্নমুখী
অডিও শুনুন
দেশে গত এক সপ্তাহে করোনার নমুনা পরীক্ষা, রোগী শনাক্ত, সুস্থ ও মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। চলতি বছরের করোনা সংক্রমণের ইপিডেমিওলজিক্যাল ষষ্ঠ সপ্তাহের (৭ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) তুলনায় ইপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তম সপ্তাহে (১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্য়ন্ত) নমুনা পরীক্ষা, শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুহার কমেছে যথাক্রমে ২০ দশমিক ৪ শতাংশ, ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ, শূণ্য দশমিক ২ শতাংশ এবং ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
করোনার ইপিডেমিওলজিক্যাল ষষ্ঠ সপ্তাহে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৬৮৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৮ হাজার ১৩২ জন রোগী শনাক্ত এবং আক্রান্তদের মধ্যে ২৩০ জন মারা যায়। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৬ হাজার ১০৫ জন।
ইপিডেমিওলজিক্যাল সপ্তম সপ্তাহে ২ লাখ ১৩ হাজার ৭৬৯টি নমুনা পরীক্ষায় ২৩ হাজার ৬২৭ জন রোগী শনাক্ত এবং ১৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৫ হাজার ৯৬৯ জন।
এদিকে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ ও নারী ৪ জন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৭৪ জনে।
একই সময় নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৯৫১ জনে। শনাক্তের হার ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ২৪২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নতুন করে মৃতদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ এবং বেসরকারি হাসপাতালে একজন মারা যান। মৃত্যুহার এক দশমিক ৫০ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষার জন্য ২৮ হাজার ৩১৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আর পরীক্ষা করা হয় ২৮ হাজার ৯৭টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬৪টি।
একই সময়ে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৮ হাজার ৬৭৪ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৬৩ হাজার ২৫৮ জনে। সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ।
করোনায় মোট মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৫০৪ জন ও নারী ১০ হাজার ৪৭০ জন রয়েছেন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত এবং এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত বছরের ১০ আগস্ট দেশে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ২৬৪ জন এবং একই বছরের ২৮ জুলাই দৈনিক সর্বোচ্চ শনাক্ত ছিল ১৬ হাজার ২৩০ জন।
এমইউ/এমকেআর