করোনা মহামারি
চিকিৎসক-কর্মচারীদের থাকা-খাওয়ার ৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা দিলো ঢামেক
করোনা মহামারির সময় চিকিৎসক ও কর্মচারীদের থাকা-খাওয়া বাবদ বকেয়া বিলের ৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকার চেক হোটেল মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (৩০ মে ) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কনফারেন্স রুমে চেক হস্তান্তর করেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক।
এ সময় নাজমুল হক বলেন, ‘করোনা মহামারির সময়টাতে চিকিৎসক এবং কর্মচারীদের থাকা-খাওয়ার জন্য আপনারা যে ভূমিকা পালন করেছেন সেটি কখনও ভুলে যাওয়ার নয়। চারিদিকে যখন হাহাকার তখন সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে চিকিৎসক এবং সরকারি কর্মচারীদের আপনাদের হোটেলে রাখেন। আপনাদের এর আগেও বিলের কয়েকটি চেক প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু কিছু অডিট আপত্তির কারণে আপনাদের সমস্ত পাওনা বুঝিয়ে দিতে সময় লেগেছে। তারপরও আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে আসছি।’
আরও পড়ুন> ৪০ কোটি টাকা বকেয়া বিল চেয়ে ঢামেককে ৩০ আবাসিক হোটেলের স্মারকলিপি
তিনি সাংবাদিকদের জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা আজ ৮ হোটেলের পাওনা ৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেছি।
তিনি আরও জানান, ‘আজ আমরা তাদের সমস্ত পাওনা বুঝিয়ে দিয়েছি। এসব হোটেলের মধ্যে লেকশোর হোটেলকে ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, হোটেল সুন্দরবনকে ৪১ লাখ ৫২ হাজার টাকা, হোটেল ওসমানীকে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, হোটেল লা ভিঞ্চিকে ৬৮ লাখ ৪৯ হাজার টাকা, কম্পাস হসপিটালিটি-১-কে ৬২ লাখ ৬৯ হাজার, কম্পাস হসপিটালিটি-২-কে ১ কোটি ৬৩ লাখ ৪৯ হাজার, কম্পাস হসপিটালিটি-৩-কে ৫৪ লাখ ২৪ হাজার ও গোল্ডেন টিউলিপ-কে ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন> খাবারের খরচ নিয়ে প্রতিবেদনটি মিথ্যা : ঢাকা মেডিকেল পরিচালক
হোটেল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি দল তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হককে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান।
তারা বলেন, ‘আমরা কখনোই চিন্তা করিনি বাকি টাকার চেক পাবো। যদি হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক স্যার না থাকতেন তাহলে হয়তো আমরা এই চেক পেতাম না।’
চেক হস্তান্তরের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আটটি হোটেলের প্রতিনিধি দলসহ হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
কাজী আল আমিন/ এসএনআর/জিকেএস