কেমন চলছে নিটোর?

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩৮ এএম, ০৫ জুন ২০২৩
হাসপাতালের একটি ওয়ার্ড

দেশে প্রতিদিন নানান দুর্ঘটনায় আহত হন শত শত মানুষ। এসব রোগীর চিকিৎসায় অন্যতম ভরসাস্থল ঢাকার শেরে বাংলা নগরের জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর)। যেটি পঙ্গু হাসপাতাল নামেই বেশি পরিচিত।

রোববার (৪ জুন) সরেজমিনে হাসপাতালটি ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের সব বেডই রোগীতে ভর্তি। চলাচলের করিডোর বা বারান্দাতেও বসানো হয়েছে বেড। মেঝেতেও পাটি-তোষক বিছিয়ে শুয়ে আছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ হাসপাতালে অধিকাংশ রোগীকেই দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হয়। এ কারণে হাসপাতালের বেড সব সময়ই ভরা থাকে। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ডে ৫৬টি সিট রয়েছে। হাসপাতালের কর্মীরা বলছেন, এই ওয়ার্ডে কখনো কোনো সিট খালি থাকে না।

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাতে বাজেট আরেকটু বেশি হলে ভালো হতো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী 

হাসপাতালের তথ্যমতে, গত পাঁচ মাসে ৩২ হাজার রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গত বছর সেবা দেওয়া হয়েছে তিন লাখ ৬০ হাজার রোগীকে। তাদের মধ্যে অপারেশন হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার জনের।

নিটোরে প্রায় সাড়ে তিনশ ডাক্তার এবং নার্স ও অন্যান্য মিলিয়ে প্রায় দুই হাজার ১০০ জন কর্মরত রয়েছেন। তবে কিছু পদ ফাঁকাও আছে।

জরুরি বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ২৫০-৩০০ রোগী চিকিৎসা নেন। বহির্বিভাগে প্রতিদিন পুরাতন ও নতুন মিলিয়ে ১০০০-১৫০০ রোগী চিকিৎসা নেন।

হাসপাতালে কথা হয় ২৭ বছর বয়সী মিজানের সঙ্গে। তার বাড়ি ভৈরব। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পুরো শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত পেয়েছেন। ডান পা ভেঙে গেছে তার। ঘটনার পরদিনই তাকে নিটোরে নিয়ে আসে তার আত্মীয়রা। ৫ দিন ধরে তিনি ভর্তি আছেন হাসপাতালে। এর মাঝে পায়ের সার্জারি হয়েছে। তবে হাসপাতাল থেকে কখন ছাড়া পাবেন তা জানা নেই।

শেরপুরের বাসিন্দা মো. জিয়াউর রহমান। ১৫ এপ্রিল তিনি আহত হন। একটি বেকারির পণ্য ভ্যানে করে বিভিন্ন দোকানে দিতেন তিনি। দুর্ঘটনার দিন তার ভ্যানের একটি চাকা ভেঙে যাওয়ায় তিনি রাস্তায় পড়ে যান। এরপর একটি মোটরসাইকেল পেছন থেকে আঘাত করে। পরের দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসক দুই পায়ের সার্জারির কথা বলেছিলেন। এক পায়ের সার্জারি হয়েছে। অন্য পায়ের এখনো হয়নি।

তিনি জানান, চিকিৎসায় খুব বেশি খরচ হয় না। তবে অপারেশনের যন্ত্রপাতি কেনার জন্য টাকা গেছে। হাসপাতাল বেড ফ্রি, চিকিৎসাও বিনামূল্যে। তবে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। বউ-বাচ্চা নিয়ে থাকতে হচ্ছে। খাবার খরচেই আমাদের অনেক টাকা চলে যাচ্ছে।

রোববার হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম উন্নয়নে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ২০টি নতুন আইসিইউ বেড।

এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসা মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে।

এএএম/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।