সম্মেলনে বক্তারা

বয়ঃসন্ধিকালে অধিকাংশ কিশোর-কিশোরী পুষ্টিসেবা বঞ্চিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০১ এএম, ০৯ জুন ২০২৩
নাওরিশ নেক্সটজেন সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা/ছবি: সংগৃহীত

বয়ঃসন্ধিকালে দেশের অধিকাংশ কিশোর-কিশোরী পুষ্টিসেবা বঞ্চিত হয়ে থাকে। নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল সেসব কিশোর-কিশোরীদের এ সেবার আওতায় আনার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে প্রাধান্য পাচ্ছে কমিউনিটি নিউট্রিশন।

‘নাওরিশ নেক্সটজেন’ সম্মেলনে এভাবে নিজের মতামত তুলে ধরেন নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাইকা সিরাজ। তরুণ ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে পুষ্টি সচেতনতা বাড়াতে ও অংশগ্রহণমূলক কাজে উৎসাহিত করতে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস সম্পর্কে সচেতনতার প্রতি গুরুত্ব ও তা বাস্তব জীবনে প্রয়োগের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন, নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তাদের অংশীদার সংগঠনগুলো জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. সামিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘খাদ্যের সঙ্গে সুষম পুষ্টির বিষয়টি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিশোর-কিশোরীদের সুস্থ থাকার জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্যগ্রহণ জরুরি।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ নিউট্রিশনের লাইন ডিরেক্টর ডা. শাহ গোলাম নবী। তিনি বলেন, ‘একটি জাতি গঠনের মূল উপাদান পুষ্টি। জনগণের মাঝে পুষ্টি কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য সরকার ৮টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে কাজ করছে। জনগণের মধ্যে যথার্থ পুষ্টির বার্তা ছড়িয়ে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশনের পোর্ট ফোলিও লিড মনিরুজ্জামান বিপুল বলেন, কয়েক বছর ধরে ‘ভালো খাবো, ভালো থাকবো’ ও ‘অ্যাক্ট ফর ফুড অ্যাক্ট ফর চেঞ্জ’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে আগ্রহী করতে গণসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। সম্মেলনে তারা তাদের কথা বলবেন এবং মতামত নিয়েই আমরা ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাবো।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ন্যাশনাল কনসালটেন্ট অনিল দাস কিশোর-কিশোরীদের সবসময় নিয়ম মেনে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে টেকনিক্যাল সেশনে বক্তারা পুষ্টিবিষয়ক বিভিন্ন গবেষণা ও কার্যক্রম উপস্থাপন করেন। কিশোর-কিশোরীরা চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও তরুণরা কমিউনিটিভিত্তিক পুষ্টি প্রচারণায় সৃজনশীল প্রজেক্ট আইডিয়া তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শেষপর্যায়ে বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার (নিউট্রিশন) শবনম ফারিয়া এবং ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ নিউট্রিশনের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. শমসের তাবরিস খান উপস্থিত ছিলেন।

এএএম/এএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।