স্বাস্থ্যের ডিজি

কমিউনিটি ক্লিনিকে মিলছে ২৭ ওষুধ, দিনে সেবা নেন ২৬ রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০২ পিএম, ১১ জুলাই ২০২৩
সম্মেলনের একটি সেশনে বক্তব্য দেন ডা. খুরশীদ আলম/ছবি: সংগৃহীত

সারাদেশে ১৪ হাজার ২১০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম।

তিনি জানান, প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে প্রতিদিন গড়ে ২৬ জন রোগী সেবা নেন। গড়ে মাসে ৫৭৬ জন এবং বছরে ৯ হাজার ৬১৮ রোগী সেবা পেয়ে থাকেন। এছাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ২৭ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে পান রোগীরা।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক: সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবায় একটি উদ্ভাবনী উদ্যোগ’ শীর্ষক সেশনে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকায় দুই দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন চলবে বুধবার (১২ জুলাই) পর্যন্ত। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় এ সম্মেলনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এসইআরও সদস্য দেশসমূহের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা অংশ নেন।

খুরশীদ আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে, যাতে কেউ অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী না হয়ে ওঠে।

অনুষ্ঠানে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার দার্শনিক চিন্তার প্রতিফলন হচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিক। তার দর্শন ছিল সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবাকে একটি স্থায়ী কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একমাত্র ব্যক্তি যিনি এ উদ্যোগ নিয়েছিলেন, যা পাবলিক –প্রাইভেট পার্টনারশিপের একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে কমিউনিটি ক্লিনিকের অবদান ব্যাপক, যাতে কেউ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না থাকে। কমিউনিটি ক্লিনিককে একটি স্থায়ী ব্যবস্থা হিসাবে দাঁড় করানো হয়েছে, এজন্য আইন করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। এটি কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান না, সমাজের মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে, যাতে মালিকানা জনগণের কাছেই থেকে যায়। কমিউনিটি গ্রুপের মানুষরাই এখানে সেবা দেয় এবং কমিউনিটির মানুষরাই এখানে সেবা পান।

জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্যোগে আমি কতগুলো সৌন্দর্য অনুভব করি। মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ছয় হাজার মানুষ সেবা পেতে পারে। বাংলাদেশের মতো সমতল ভূমিতে ছয় হাজার মানুষের কাছে সেবা পৌঁছানো সহজ বিষয়। তবে সবসময় সব জায়গায় তা নাও হতে পারে। ভৌগলিক স্থান সম্পর্কে বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়। তাতে করে অন্য দেশগুলো আমাদের অভিজ্ঞতা নিজ দেশে কাজে লাগাতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, কমিউনিটির জন্য যেকোনো উদ্যোগ প্রসারে কমিউনিটির সঙ্গে যোগসূত্র অবশ্যই থাকতে হবে। কমিউনিটি ক্লিনিক হচ্ছে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যে জায়গায় সেবা দেওয়া হচ্ছে, সেই জায়গাটি কমিউনিটির। সরকার অবকাঠামো করে দিচ্ছে তাদের নিজেদের হাতে। কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ সহায়তা করছে, রোগীর ব্যবস্থাপনায়, রোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করছে।

এ সেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন মিয়ানমারের জনস্বাস্থ্য বিভাগের রোগ নিয়ন্ত্রণের উপ-পরিচালক ডা. কয় ক্যান কং। সেশনটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী।

এএএম/এএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।