ডেঙ্গুতে একই হাসপাতালে বাবা-ছেলে-মেয়ে

আবদুল্লাহ আল মিরাজ
আবদুল্লাহ আল মিরাজ আবদুল্লাহ আল মিরাজ , নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১০ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ডেঙ্গু ভোগাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ঢাকায় কিংবা বাইরে, সারাদেশেই ছড়িয়েছে এ রোগ। পরিবারের একজন সদস্য ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেই বাকিদের দুশ্চিন্তা-দৌড়াদৌড়ি চলতে থাকে। আর যখন একই পরিবারের প্রায় সব সদস্য আক্রান্ত হচ্ছেন, তখন দুর্ভোগ সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

মহাখালীর ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন একই পরিবারের ৩ সদস্য। চারজনের পরিবারের ৩ জনই আক্রান্ত এ রোগে। স্বামী, ছেলে ও মেয়ে- ৩ জনই ভর্তি এই হাসপাতালে। স্বামী চিকিৎসা নিচ্ছেন চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ডে। দুই ছেলে-মেয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে ২ তলায়। সবার যত্নে একা প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন গৃহকর্ত্রী রাওজানা।

দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে বড় তাওসীফ। তার বয়স ৭ বছর। লালবাগের একটি বিদ্যালয়ে ক্লাস ওয়ানে পড়ে সে। ছোট মেয়ে নোভা। তার বয়স ৫ বছর। পড়ে নার্সারিতে।

জাগো নিউজের কথা হয় রাওজানার সঙ্গে। তিনি জানান, পুরান ঢাকার লালবাগে বাস করেন তারা। গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রথম তার স্বামী সুমন জ্বরে আক্রান্ত হন। তাকে ভর্তি করা হয় ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে। দুদিন পরই আক্রান্ত হয় দুই ছেলে-মেয়ে। তাদেরও দুর্বলতা, খাওয়া-দাওয়া না করার সমস্যা থাকায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। গত ৫ দিন পুরো পরিবারই এ হাসপাতালে। সবাইকে নিয়েই দুশ্চিন্তা আর সীমাহীন কষ্টে আছি।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী হাসপাতালে, সন্তানরা বাড়িওয়ালার কাছে

তিনি জানান, স্বামী সুমন অনেকটা সুস্থ হওয়ায় আজ তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। বাচ্চারাও আগের চেয়ে অনেকটা সুস্থ হয়েছে।

কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, ছেলে-মেয়ে দুজনই সুস্থতার দিকে আছে। আমাদের অবজারভেশনে আছে। দু-একদিনের মধ্যে তারাও ছাড়া পেতে পারে।

ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালের তথ্যে জানা যায়, গত দুই দিনে ভর্তি রোগী কিছুটা কমেছে। হাসপাতালের বেশিরভাগ রোগীই আসে দূর-দূরান্ত বা ঢাকার বাহিরে থেকে। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছে ৭৭ জন। অন্যদিকে ছাড়া পেয়েছে ৭১ জন রোগী। তবে আজ মারা যাননি কেউ।

এএএম/এমএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।