গরিব রোগীদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন ভাল্ব সরবরাহের আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০৯ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০২৩

হৃদরোগ হাসপাতালে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী আসে, যাদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত। যেকারণে অনেক রোগীই ভিটামাটি বিক্রি করে চিকিৎসা করাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন হাসপাতালটির কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের প্রধান এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন।

তিনি জানান, অনেকেরই ভাল্ব প্রয়োজন হয়, হাসপাতালে সরবরাহ না থাকায় আমরা তাদের জন্য কিছুই করতে পারিনা। তাই সরকারিভাবে নিরবিচ্ছিন্ন ভাল্ব সরবরাহ করার অহ্বান জানান তিনি। এতে করে চিকিৎসায় রোগীদের অন্তত এক থেকে দেড় লাখ টাকা সাশ্রয় হবে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন এসব দাবি জানান।

তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে কার্ডিয়াক সার্জারিতে নিরবিচ্ছিন্ন ভাল্ব ও অক্সিজেনের ব্যবস্থার দাবি জানান। তিনি আরও বলেন, আমাদের হাসপাতালে সরকারিভাবে ভাল্ব সরবরাহ হয়, কিন্তু তা একটা নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ। যা অল্প কিছুদিনেই শেষ হয়ে যায়। যদি সরকারের পক্ষ থেকে নিরবিচ্ছিন্ন ভাল্ব পাওয়া যায়, তাহলে রোগীদের এগুলো বিনামূল্যে দেওয়া সম্ভব।

আশেপাশে এলাকায় অনেকগুলো হাসপাতাল। এখানে যেমন হৃদরোগ হাসপাতাল, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, কিডনি হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল আছে। রোগীকে যেন দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা সম্ভব হয় এজন্য একটা মূল সড়কের বাইরে একটি ইন্টার কানেকশন রোড করে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

কোয়ার্টার উদ্বোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে আবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদেরও আবাসন সংকট ছিলো, কিন্তু আজ এ কোয়ার্টার উদ্বোধনের ফলে সংকট নিরসন হবে। তবে যারা হাসপাতালে সার্বক্ষণিক থাকেন, ইমার্জেন্সি সার্ভিস যারা দেন, তারাই এখানে থাকতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনসহ আরও অনেকে।

এএএম/এসটি/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।