নিজের ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নিশাত আব্দুল্লাহ নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের কর্মী বহিষ্কার হওয়া এক কর্মী।
Advertisement
রোববার (৮ জুন) দিনগত রাতে দেড়টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ ঘোষণা দেন।
ফেসবুক পোস্টে নিশাত লেখেন, ‘আমি নিশাত আব্দুল্লাহ, আজ ৯ জুন তারিখে ছাত্ররাজনীতি থেকে সম্পূর্ণভাবে বিদায় নিচ্ছি। এখন থেকে ছাত্রদল বা বিএনপির কোনো ইতিবাচক বা নেতিবাচক কার্যকলাপে আমার কোনো ভূমিকা বা দায় থাকবে না।’
নিশাত আব্দুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬তম ব্যাচের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী।
Advertisement
তার পোস্টের পর অনেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্ট এবং নিশাতের পোস্টের মন্তব্যের ঘরে তার মতো ছাত্রনেতার রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোকে ছাত্রদলের ব্যর্থতা ও দুঃসময়ের ছাত্রনেতাদের অবমূল্যায়ন বলে মন্তব্য করেন।
রাজু হাসান রাজন নামে এক ছাত্রদল নেতা ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘রাজপথে ৫ আগস্টের আগে যে কয়জন মানুষ ছিল নিশাত তাদের একজন। আমার বন্ধু আমার শক্তি ছিল, সে এইভাবে রাজনীতি থেকে চলে যেতে পারে না। যারা নোংরা রাজনীতি করে ছেলেটাকে বহিষ্কার করেছিলেন তারা মনে রাখবেন সব কিছু আল্লাহ হিসাব রাখেন। সত্যি ৫ আগস্টের আগে আমরা যারা রাজপথে ছিলাম তারা আজ একদম অসহায়। সবচেয়ে পরিশ্রম করা ছেলেটা কিছু কাপুরুষের জন্য রাজনীতি থেকে এভাবে বিদায় নিচ্ছে।’
মোহাম্মদ শোয়াইব হাসান নামে এক শিক্ষার্থী নিশাতের কমেন্ট বক্সে লেখেন, ‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সেই ঘনঘোর ফ্যাসিবাদের আমলে ৭-৮ জনের মিছিল নিয়ে গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করে গেলেন। যেই সময় জাহাঙ্গীরনগরের কালেক্টিভ কনশাসে ছাত্রদল বলে কিছু এক্সিস্ট করতো না সেই সময় এই সংগঠনকে আঁকড়ে ছিলেন। আজ ফ্যাসিবাদের পতনের পর আপনার এই অসময়ের প্রস্থান! আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুক নিশাত ভাই।’
আকাশ আহমেদ নামে ছাত্রদলের এক কর্মী ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘স্বৈরাচার আমলে অনেকেই গর্তে ছিলেন, নিশাত আবদুল্লাহ ভাইয়ের মতো বিপ্লবীরা সামনের সারিতে ছিল।’
Advertisement
সুসমিতা বিনতে নামে আরেক শিক্ষার্থী মন্তব্যের ঘরে লেখেন, ‘ভাই আবার ভেবে সিদ্ধান্ত নেন, এত ত্যাগ করলেন এতদিন! যদি অন্য রাজনৈতিক দল করার চিন্তা করেন সেটা আলাদা বিষয়, তবে দলের যে ইমেজ এখন আপনার মত মানুষ থাকা প্রয়োজন। শুভ কামনা আপনার জন্য।’
নিশাতের ঘোষণার বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন বাবর বলেন, ‘সে তো বহিষ্কৃত, তাই তার বিষয়ে আমরা কিছু ভাবছি না।’
গত ১৭ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশাত আব্দুল্লাহকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
সৈকত ইসলাম/এমএন/জেআইএম