উত্তর সাগরে ট্যাঙ্কারের সঙ্গে জাহাজের সংঘর্ষে আগুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০৮ এএম, ১১ মার্চ ২০২৫

ইংল্যান্ডের উত্তর-পূর্ব উপকূলবর্তী উত্তর সাগরে একটি তেলের ট্যাঙ্কারের সঙ্গে একটি পণ্যবাহী জাহাজের সংঘর্ষের ঘটনার পর আগুন ধরে গেছে। ট্যাঙ্কারটিতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর জন্য জ্বালানি বহন করা হচ্ছিল। সংঘর্ষের ফলে উভয়যানেই আগুন ধরে যায়। এতে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটে। জ্বালানি বহনকারী ওই তেলের ট্যাঙ্কার এবং বিষাক্ত রাসায়নিক বহনকারী একটি পণ্যবাহী জাহাজটিতে এখনও আগুন জ্বলছে। খবর বিবিসি, রয়টার্স।

এইচএম কোস্টগার্ড জানিয়েছে, একজন ক্রু সদস্য এখনও নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাকে উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত স্টেনা ইম্যাকুলেট নামের ট্যাঙ্কারটি মার্কিন সামরিক বাহিনীর জ্বালানি পরিবহন করছিল।

তেলের ট্যাঙ্কারটি যুক্তরাষ্ট্রের পতাকাবাহী এমভি স্টেনা ইমাকুলেট এবং পণ্যবাহী জাহাজটি ছিল পর্তুগালের পতাকাবাহী কন্টেইনার শিপ সোলং।

কোস্টগার্ড ডিভিশনাল কমান্ডার ম্যাথিউ অ্যাটকিনসন বলেছেন, ৩৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, নিখোঁজ ক্রু সদস্য সোলং নামের জাহাজটিতে ছিলেন।

স্টেনা ইমাকুলেট ট্যাঙ্কারটি পরিচালনা করে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রাউলি নামের এক সংস্থা। ট্যাঙ্কারটি গ্রিস থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যাচ্ছিল। আর সোলং জাহাজটি স্কটল্যান্ডের গ্রেঞ্জমাউথ থেকে নেদারল্যান্ডসের রটারড্যামে যাচ্ছিল।

তেলের ট্যাঙ্কারে থাকা এক ব্যক্তি বিবিসিকে বলেন, সোলং জাহাজটির ১৬ নট গতিতে স্টেনা ইম্যাকুলেটের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার পরপরই স্টেনার ক্রুরা সবাই ট্যাঙ্কার থেকে দ্রুত নিরাপদে সরে যান।

এই দুর্ঘটনার পর সমুদ্রের পানি দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কীভাবে এই দূষণ ঠেকানো যায় তা মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

এক মার্কিন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন যে, ট্যাঙ্কারটি প্রতিরক্ষা বিভাগের জন্য জ্বালানি বহন করছিল। তবে তিনি বলেছেন, এই ঘটনা অভিযান বা যুদ্ধ প্রস্তুতির ওপর প্রভাব ফেলবে না।

কোস্টগার্ডের এক উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার, চারটি নৌকা এবং অগ্নিনির্বাপণ ক্ষমতাসম্পন্ন বেশ কিছু জাহাজ ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে। কার্গো জাহাজটি ১৫টি কন্টেইনার বহন করছিল।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।