কৃষ্ণসাগরে নৌযুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া-ইউক্রেন সমঝোতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৪৬ এএম, ২৬ মার্চ ২০২৫
কৃষ্ণসাগরে সংঘাত বন্ধে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। ফাইল ছবি: তাস

কৃষ্ণসাগরে নৌযুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলাদা চুক্তিতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। সৌদি আরবে তিন দিনব্যাপী শান্তি আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এ চুক্তি হয়।

ওয়াশিংটন জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য কাজ চালিয়ে যাবে। নতুন এই সমঝোতার ফলে কৃষ্ণসাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য পথ ফের খুলে দেওয়া হবে।

তবে রাশিয়া স্পষ্ট করেছে, খাদ্য ও সার বাণিজ্যের ওপর আরোপিত কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কৃষ্ণসাগরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না।

আরও পড়ুন>>

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা রিয়াদে আলাদাভাবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তবে মস্কো ও কিয়েভের প্রতিনিধিদের সরাসরি কোনো বৈঠক হয়নি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই চুক্তিকে ‘সঠিক পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, এই চুক্তির পর ইউক্রেনকে কেউ শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনীহা দেখানোর অভিযোগ করতে পারবে না।

রাশিয়ার শর্ত

যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার পরপরই ক্রেমলিন জানায়, কৃষ্ণসাগরে সংঘর্ষ বন্ধের শর্ত হিসেবে রাশিয়ার ব্যাংক, কৃষি পণ্য উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে।

রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পদক্ষেপগুলোর মধ্যে রয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর সুইফট পেমেন্ট সিস্টেমে পুনঃসংযোগ, রুশ পতাকাবাহী খাদ্যবাহী জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং কৃষি উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহের ওপর বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা সব কিছু নিয়ে ভাবছি। আমরা বিষয়গুলো পর্যালোচনা করছি।

এর আগে, ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর কৃষ্ণসাগর দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপদ চলাচলের জন্য একটি চুক্তি হয়।

ইউক্রেন ও রাশিয়া উভয়ই বিশ্বের প্রধান খাদ্যশস্য রপ্তানিকারক দেশ। যুদ্ধ শুরু হলে খাদ্যশস্যের দাম বেড়ে যায়।

এরপর ‘কৃষ্ণসাগর শস্য চুক্তি’ করা হয়, যাতে ইউক্রেনের বন্দর থেকে খাদ্যশস্য, সূর্যমুখী তেল এবং সারসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য নিরাপদে পরিবহন করা যায়।

চুক্তিটি প্রথমে ১২০ দিনের জন্য কার্যকর হয় এবং কয়েক দফা নবায়ন করা হয়। তবে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া চুক্তির মূল শর্তগুলো বাস্তবায়ন হয়নি অভিযোগ তুলে সেটি থেকে সরে আসে।

সূত্র: বিবিসি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।