পশ্চিমবঙ্গে পহেলা বৈশাখ এবং পশ্চিমবঙ্গ দিবস উদযাপন

কলকাতাসহ পুরো পশ্চিমবঙ্গে সাড়ম্বরে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ। ১৪৩১-কে বিদায় জানিয়ে বাংলা বছরের শুরু ১৪৩২ বঙ্গাব্দে পা রাখা। বৈশাখের প্রথম দিনে নতুন জামা, মিষ্টি, হালখাতা যেন এক চিরাচরিত ঘটনা। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকাল থেকে নতুন জামা পরে বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান পরিদর্শন করে শুভেচ্ছা ও মিষ্টি বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছেন উৎসবমুখর বাঙালিরা। পরিবারের মঙ্গল কামনা এবং ব্যবসার উন্নতির জন্য ধর্মীয় স্থানগুলোতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
অনেক বাঙালি আবার পূজা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নতুন পোশাক এবং ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার পান্তা ভাত এবং ইলিশ খেয়ে দিনটি উদযাপন করেন। কলকাতাসহ বিভিন্ন জায়গায় দিনটি শুরু হয়েছে ঐতিহ্য হিসাবে স্বীকৃতি মঙ্গল শোভাযাত্রা দিয়ে। কলকাতার রাস্তা-ঘাটে, অলি-গলিতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আঁকা হয় রকমারি আলপনা।
দক্ষিনেশ্বরী কালি মন্দিরে পূজা দিতে এসে দেবিকা সান্যাল বলেন, সকাল বেলা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি পূজা দেওয়ার জন্য। সবার মঙ্গল কামনা করি। পরিবারের সবাই যাতে ভালো থাকে। নববর্ষ সকলের ভালো কাটুক। সকাল থেকে বাংলার প্রথম বছরে প্রথম দিনে পুজা দিতে এসে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, আমি প্রতি বছর এখানে আসি। সবাই যাতে ভালো থাকে।
পহেলা বৈশাখের এই দিনটিকে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ অথাৎ বাংলা দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, রাজ্যজুড়ে সরকারি স্তরে পালিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ দিবস।
মঙ্গলবার সরকারি ছুটি হলেও রাজ্যজুড়ে সরকারি স্তরে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপন করা হয় পশ্চিমবঙ্গ দিবস। পহেলা বৈশাখ এবং পশ্চিমবঙ্গ দিবস উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন।
মমতা ব্যানার্জী বলেন, রাজ্যের সব নাগরিককে জানাই শুভনন্দন। ছোট ছোট ভাই-বোনদের জানাই অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আরও বিকশিত হোক রাজ্যের ঐতিহ্যময়ী সংস্কৃতি। আরও সুদৃঢ় হোক রাজ্যবাসীর ভ্রাতৃত্ব বন্ধন।
- আরও পড়ুন:
- আফগানিস্তানে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প
- ভূমিকম্পে কেঁপে উঠলো ফিলিপাইন
- ট্রাম্পের শুল্কে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে টানতে পারে চীন
পশ্চিমবঙ্গ দিবস উপলক্ষে কলকাতার রবীন্দ্র সদন ছাড়াও বিভিন্ন প্রান্তে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
ডিডি/টিটিএন