মার্কিন-ইসরায়েলি ত্রাণকেন্দ্রে খাবার নিতে গিয়ে নিহত ৭৪৩ ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০৩ পিএম, ০৬ জুলাই ২০২৫
ত্রাণের খোঁজে ছুটছেন গাজাবাসী। ছবি: এপি/ইউএনবি

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত বিতর্কিত ত্রাণ সহায়তা কেন্দ্র থেকে খাবার সংগ্রহের সময় কমপক্ষে ৭৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই ঘটনায় আরও অন্তত ৪ হাজার ৮৯১ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৫ জুলাই) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করে জানায়, গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত বিতরণকেন্দ্রগুলোতে খাবার নিতে গিয়ে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। মে মাসের শেষ দিকে এই ত্রাণ কর্মসূচি চালু করা হয়।

ত্রাণ নিতে গিয়েই গুলিবিদ্ধ

আল-জাজিরার গাজা প্রতিনিধি হানি মাহমুদ বলেন, এটি ন্যূনতম হিসাব। বাস্তবে আরও অনেক হতাহত রয়েছে। খাদ্য সংকটে ভুগতে থাকা ফিলিস্তিনিরা খাবারের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন, আর সেই সময়েই তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়।

আরও পড়ুন>>

সম্প্রতি বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কিছু ঠিকাদার অভিযোগ করেছেন, জিএইচএফ বিতরণকেন্দ্রগুলোতে সাহায্যপ্রার্থীদের লক্ষ্য করে তাজা গুলি ও স্টান গ্রেনেড ছোড়া হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে দুজন মার্কিন ঠিকাদার জানান, অনেক কর্মী ‘যা ইচ্ছা তাই করছেন।’

জিএইচএফ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এই খবর সম্পূর্ণভাবে ‘মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর’। সংগঠনটি দাবি করেছে, তারা তাদের সাইটগুলোর নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।

সমালোচনার মুখে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা

তীব্র সমালোচনার মুখেও যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন জিএইচএফের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, এটি একমাত্র সংগঠন যারা গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ করতে পেরেছে।

জুন মাসের শেষ দিকে ট্রাম্প প্রশাসন জিএইচএফকে ৩০ মিলিয়ন ডলার সরাসরি অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

মানবাধিকার সংস্থার ক্ষোভ

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বহু মানবাধিকার সংস্থা জিএইচএফ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি একে ‘অমানবিক ও প্রাণঘাতী সামরিকীকৃত কর্মসূচি’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

অ্যামনেস্টি বলেছে, জিএইচএফ মূলত আন্তর্জাতিক উদ্বেগ প্রশমনের একটি মুখোশ। এটি ইসরায়েলের গণহত্যার আরেকটি হাতিয়ার।

সূত্র: আল-জাজিরা
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।