যুক্তরাষ্ট্রে গির্জায় বন্দুকধারীর হামলায় দুই নারী নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৫ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২৫
মার্কিন পুলিশের গাড়ি। ফাইল ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের লেক্সিংটনে একটি গির্জায় বন্দুকধারীর হামলায় দুই নারী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিনজন। ঘটনাস্থলে পুলিশের গুলিতে বন্দুকধারীও নিহত হয়।

গত রোববার (১৩ জুলাই) স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। এর আগে, ওই ব্যক্তি এক পুলিশের সদস্যকে গুলি করে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ জানায়, ব্লু গ্রাস বিমানবন্দরের কাছে টার্মিনাল ড্রাইভে একটি গাড়িকে থামানোর পর গাড়িচালক হঠাৎই রাজ্য পুলিশের এক সদস্যকে গুলি করে পালিয়ে যান। এরপর তিনি একটি গাড়ি ছিনতাই করে প্রায় ১৫ মাইল দূরে রিচমন্ড রোড ব্যাপটিস্ট চার্চে যান।

আরও পড়ুন>>

লেক্সিংটন পুলিশের প্রধান লরেন্স উইদারস বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে গির্জার কারও সঙ্গে বন্দুকধারীর পূর্বপরিচয় ছিল। তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি। গির্জায় পৌঁছে ওই ব্যক্তি গুলি চালান, যাতে চারজন গুলিবিদ্ধ হন।

ঘটনার সময় তিন পুলিশ সদস্য পাল্টা গুলি ছুড়লে বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

নিহত দুই নারীর নাম ক্রিস্টিনা কম্বস (৩৪) ও বেভারলি গাম (৭২)। গুলিতে আহত দুই পুরুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, এদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া গুলিবিদ্ধ পুলিশ সদস্যও বর্তমানে স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন।

গির্জাটি লেক্সিংটনের পুরোনো রিচমন্ড রোড করিডোর নামের একটি গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত। স্থানীয় করোনার গ্যারি গিন জানান, এটি একটি ক্ষুদ্র এবং ঘনিষ্ঠ গির্জা সম্প্রদায়। অনেক সদস্যই আত্মীয়স্বজন।

ঘটনার সময় গির্জার ধর্মোপদেশ সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছিল ফেসবুকে।

এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেসিয়ার। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই নির্মম সহিংসতার শিকার সকলের জন্য প্রার্থনা করুন এবং পুলিশ বিভাগের দ্রুত প্রতিক্রিয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত বন্দুকধারীর পরিচয় নিশ্চিত হলেও তার পরিবারের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করা হয়নি। তার নামও প্রকাশ করা হয়নি।

সূত্র: সিএনএন
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।