সিরিয়ায় দুই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে দাঙ্গা, নিহত ৩০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৪ পিএম, ১৪ জুলাই ২০২৫
দক্ষিণ সিরিয়ার সুয়েইদা শহরে বেদুইন সুন্নি ও সংখ্যালঘু দ্রুজ গোষ্ঠীর মধ্যে দাঙ্গার পর সোমবার (১৪ জুলাই) সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়/ ছবি: এএফপি

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের সুয়েইদা শহরে বেদুইন সুন্নি ও সংখ্যালঘু দ্রুজ গোষ্ঠীর মধ্যে দাঙ্গায় অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েনের কথা জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুই গোষ্ঠীর সংঘাতে ৩০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩৭ জন।

সুয়েইদার গভর্নর মুস্তাফা আল-বাকুর সবাইকে সংযম প্রদর্শন ও জাতীয় সংস্কারের প্রতি সহযোগিতা করতে আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া দেশটির ধর্মীয় নেতারা সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

গত বছর ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে সিরিয়ায় সংখ্যালঘু বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত বেড়ে গেছে। বাশার সরকারের পতনের পর একটি ইসলামপন্থি সরকার দেশটিতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।

গত বছরের শেষ দিকে হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নামক সুন্নি ইসলামপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠী দামেস্ক শহরে হামলা চালিয়ে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এর মধ্য দিয়ে আসাদ পরিবারের দীর্ঘ ৫৪ বছরের শাসনামলের অবসান ঘটে।

গত এপ্রিল ও মে মাসে নতুন নিরাপত্তা বাহিনী এবং দ্রুজ যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দ্রুজ সম্প্রদায়ের কয়েকজন সদস্য বিবিসিকে জানান, হামলার আশঙ্কার তুলনায় নতুন সরকার থেকে সঠিক সুরক্ষা না পাওয়া নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।

সাম্প্রতিক সময়ে হামলায় দেশটিতে সংখ্যালঘু আলাওয়ি সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া দামেস্কের একটি গির্জায়ও হামলা হয়েছে। সবমিলিয়ে বর্তমানে পুরো সিরিয়াই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

এসএএইচ/টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।