গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে হাজারের বেশি নিহত, দুর্ভিক্ষের শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:২৮ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২৫
গাজায় খাবারের অপেক্ষায় থাকা একদল শিশু। ফাইল ছবি: এপি/ইউএনবি

গত মে মাসের পর থেকে গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সংগ্রহের সময় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। নিহতদের বেশিরভাগই মারা গেছেন বিভিন্ন মানবিক ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রের আশপাশে। বুধবার (২৩ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয়।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, খাদ্য সংগ্রহের চেষ্টা করার সময় অন্তত ১ হাজার ৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৭৬৬ জন মারা গেছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটোরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত ত্রাণকেন্দ্রগুলোর আশপাশে।

আরও পড়ুন>>

গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক দিনে কমপক্ষে ১০১ জন মারা গেছেন অনাহারে, যাদের বেশিরভাগই ছিল শিশু।

‘মানবসৃষ্ট বিপর্যয়’

মানবিক সংগঠন মেড গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক জোসেফ বেলিভো বলেন, এটি একটি মানবসৃষ্ট বিপর্যয়। শিশুরা মারা যাচ্ছে শুধু খাবার বা চিকিৎসা না থাকার কারণে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, গাজায় প্রায় এক লাখ নারী ও শিশু চরম অপুষ্টিতে ভুগছেন এবং প্রতি তিনজনের একজন নিয়মিতভাবে দিনের পর দিন না খেয়ে কাটাচ্ছেন।

ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপর বোমা বর্ষণ

গত মঙ্গলবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিন শাতি শরণার্থী শিবিরে এক হামলায় ১২ জন নিহত, যাদের মধ্যে তিনজন শিশু ও তিনজন নারী। এছাড়া, ত্রাণের জন্য ভিড় করা জনগণের ওপর চালানো বিমান হামলায় আটজন নিহত ও ১১৮ জন আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, লোকজন যখন দৌড়ে এসে ময়দানে পড়ে যাওয়া আটা কুড়াতে ব্যস্ত, তখনই হামলা চালানো হয়।

একজন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি মোহাম্মদ ইসাম বলেন, ‘রক্তে ভেজা আটার বস্তা... আমরা আর কতদিন এভাবে বাঁচবো?’

আন্তর্জাতিক মহলের নিন্দা

যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ ২৮টি পশ্চিমা দেশ ইসরায়েলের ত্রাণ সরবরাহ নীতিকে ‘অমানবিক ও বিপজ্জনক’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তারা বলেছে, ইসরায়েল ইচ্ছা করে গাজাবাসীদের জীবনযাপন ও মর্যাদাকে বিপন্ন করছে।

সূত্র: ইউএনবি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।