হামলায় ‌‘বিরতি’র ঘোষণা দিয়েও ৬৩ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫৯ এএম, ২৮ জুলাই ২০২৫
গাজায় তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে/ফাইল ছবি: এএফপি

গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে কিছু এলাকায় প্রতিদিন ১০ ঘণ্টা হামলায় ‘বিরতি’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। কিন্তু এই ঘোষণার পরেও ইসরায়েলের আগ্রাসনে গাজাজুড়ে কমপক্ষে ৬৩ জন নিহত হয়েছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

স্থানীয় সময় রোববার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মধ্য ও উত্তর গাজার আল-মাওয়াসি, দেইর এল-বালাহ এবং গাজা সিটিতে সামরিক তৎপরতা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখবে। তারা সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টার মধ্যে খাদ্য ও চিকিৎসা কনভয়ের জন্য নির্ধারিত সাহায্য করিডোর খোলা রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।

কিন্তু ‘মানবিক বিরতির’ প্রথম দিনের কয়েক ঘন্টা পরেই ইসরায়েলি বিমান হামলা আবার শুরু হয়। দেইর এল-বালাহ থেকে আল জাজিরার হিন্দ খোদারি জানিয়েছেন, গাজা সিটিতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে এবং এটি এমন একটি এলাকা যাকে নিরাপদ এলাকা হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল এবং সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের সামরিক অভিযান বন্ধ করতে চলেছে।

ওই এলাকার ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছে, একটি বেকারি টার্গেট করে এই হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে আন্তর্জাতিক চাপের কারণে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দেয় ইসরায়েল।

অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহের অংশ হিসেবে আকাশপথে খাদ্য ও ওষুধ পাঠানোর ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। পাশাপাশি, অঞ্চলটিতে নির্দিষ্ট মানবিক করিডোর খোলা হবে বলেও জানায় তারা।

গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি গভীরতর হওয়ায় বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তেলআবিব। গত ২ মার্চ যুদ্ধবিরতি আলোচনা ভেঙে পড়ার পর ইসরায়েল গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে। তবে মে মাসের শেষদিকে সীমিত আকারে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়।

টিটিএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।