ভারতে আসাম থেকে এনআরসি নোটিশ পেলেন পশ্চিমবঙ্গের তিনজন
আসামের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল-৪ কামরূপ থেকে এনআরসির নোটিশ পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিন বাসিন্দাকে। তারা হলেন উত্তম ব্রজবাসী, নিশিকান্ত দাশ এবং অঞ্জলী শীল।
উত্তম ব্রজবাসী, নিশিকান্ত দাশ কোচবিহারের বাসিন্দা এবং অঞ্জলী শীল আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার বাসিন্দা। তাদের সবাইকে আসামের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল-৪ কামরূপ কোর্টে গিয়ে নিজেদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছে।
নিশিকান্ত দাশ ২৬ বছর আগে আসামে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। সে সময় তাকে বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে পুলিশ। যদিও পরে প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিলে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর আসামে আরও ছয়মাস পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করার পর কোচবিহারে ফিরে আসেন। পরবর্তীতে আর আসামে যাননি নিশিকান্ত।
আরও পড়ুন>>
- বাংলায় কথা বললেই গ্রেফতার করা হচ্ছে: মমতা
- ভোটার লিস্ট থেকে বাঙালিদের নাম বাদ দেওয়ার চক্রান্ত হচ্ছে: মমতা
- বাঙালিদের হেনস্তার প্রতিবাদে রাস্তায় নামলো পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্ট
- রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের প্রশংসাপত্র দেওয়ার অভিযোগ শুভেন্দুর
চলতি মাসের প্রথমদিকে কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা উত্তম ব্রজবাসীকে অনুপ্রবেশেকারী সন্দেহে এনআরসি নোটিশ দিয়েছিল আসামের ফরেনার্স ট্রাইবুনাল কোর্ট। এ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে- পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাকে কীভাবে আসাম থেকে এনআরসি নোটিশ দেওয়া হয়?
আসামের মেয়ে অঞ্জলী শীল। তার স্বামীরও জম্ম আসামে। বেশ কয়েক বছর আগে চলে এসেছেন উত্তরবঙ্গে। এখন উত্তরবঙ্গের ফালাকাটায় তাদের স্থায়ী ঠিকানা।
অঞ্জলি শীল জানিয়েছেন, যেখান থেকে নোটিশ এসেছে সেখানে গিয়ে দেখবো এটি সত্য কিনা। তারপর এ বিষয়ে যা করার করবো। এখনই কিছু বলতে পারছি না।
পার্শ্ববর্তী বিজেপিশাসিত রাজ্য আসামের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল-৪ কোর্ট থেকে পশ্চিমবঙ্গের দীর্ঘদিনের বাসিন্দাদের কাছে নাগরিকত্বের প্রমাণ চেয়ে এনআরসির নোটিশ পাঠানো নিয়ে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এ নিয়ে সোচ্চার হয়ে ‘ভাষা আন্দোলনের’ ডাক দিয়েছে। সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ও তার ভাতিজা অভিষেক ব্যানার্জী।
ডিডি/কেএএ/