আফগানিস্তানে এক হাজার বছরের পুরোনো মিনার ধসে পড়ার ঝুঁকিতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩১ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২৫
বেগম মিনার

আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশের জাঘাতু জেলায় অবস্থিত প্রায় এক হাজার বছরের প্রাচীন বেগম মিনার এখন ধসে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় অধিবাসী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

তাদের মতে, দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু না হলে এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দীর্ঘদিনের সরকারি অবহেলার কারণে মিনারটির কাঠামো এরই মধ্যে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গজনির সাংস্কৃতিক কর্মী আগা মোহাম্মদ খোশিজাদা বলেন, বেগম মিনার শুধু ঐতিহাসিক নয়, এটি আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও প্রতীক। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে সরকারের অবহেলায় এখন এটি বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। যদি এখনই সংরক্ষণ না করা হয়, এটি পুরোপুরি ধসে পড়বে।

আরেক সাংস্কৃতিক কর্মী আহমদ শাহ বলেন, সরকারের উচিত এই প্রাচীন স্থাপনাটির পুনর্নির্মাণে মনোযোগ দেওয়া। অনেক সময় বিদেশি পর্যটকরা এসে জানতে চান কেন এটি সংস্কার করা হচ্ছে না—কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারি না, এটি সরকারের দায়িত্ব।

স্থানীয় বাসিন্দা আলি মোহাম্মদ বলেন, আমাদের দাবি—এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি পুরোপুরি নষ্ট হওয়ার আগেই যেন পুনর্নির্মাণ করা হয়।

গজনির স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি এরই মধ্যে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে এবং দ্রুতই সংস্কারকাজ শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গজনি প্রদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান হামিদুল্লাহ নিসার বলেন, মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বস্ত করেছে। আমরা বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলাপ করেছি এবং বেগম মিনারের সংস্কার দ্রুত শুরু করার জন্য কাজ করছি।

প্রাদেশিক সংস্কৃতি দপ্তরের তথ্যানুসারে, বেগম মিনার ছাড়াও গজনি প্রদেশে আরও আটটি ঐতিহাসিক স্থাপনা সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে সর্দার টিলা এবং সুলতান শাহাবউদ্দিন গোরীর সমাধি পুনর্নির্মাণের অনুমোদন এরই মধ্যে পাওয়া গেছে এবং শিগগিরই বাস্তব কাজ শুরু হবে।

সূত্র: টোলো নিউজ

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।