ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে মারা গেলেন কেনিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৫
রাইলা ওডিঙ্গা/ ছবি: এএফপি (ফাইল)

কেনিয়ার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও বিরোধীদলীয় নেতা রাইলা ওডিঙ্গা ভারতের কেরালায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮০ বছর।

স্থানীয় পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে, তিনি ভারতের কেরালার কোচি শহরের দেবমাথা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে হাঁটার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কেরালার এরনাকুলাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষ্ণন এম বলেন, সকালের হাঁটার সময় তিনি হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে ছিলেন তার বোন, মেয়ে, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ভারতীয় এবং কেনিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। কাছাকাছি একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।

ওডিঙ্গার কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তাও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাইলা ওডিঙ্গা ছিলেন কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং দেশটির রাজনীতির অন্যতম প্রধান মুখ।
তিনি ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাঁচবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তবে কখনও বিজয়ী হতে পারেননি।

১৯৪৫ সালের ৭ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া রাইলা ছিলেন স্বাধীন কেনিয়ার প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতির পুত্র।
তিনি লুয়ো উপজাতির প্রতিনিধি হিসেবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সামরিক শাসনের বিরোধিতা এবং নাগরিক অধিকারের পক্ষে দীর্ঘদিন লড়াই চালিয়ে গেছেন। এজন্য তাকে বিদেশে নির্বাসন, এমনকি আট বছর জেল জীবন কাটাতে হয়েছে।

তার মৃত্যুতে কেনিয়ার রাজনীতিতে, বিশেষ করে বিরোধীদলের নেতৃত্বে, একটি বড় শূন্যতা তৈরি হলো।
২০২৭ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে এই মৃত্যু দেশটির রাজনৈতিক সমীকরণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

ভারতের মথ্রুভূমি পত্রিকা প্রথম ওডিঙ্গার মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে জানায়, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে কেরালার কোচিতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে ঠিক কী ধরনের চিকিৎসা চলছিল, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

সূত্র: আল-জাজিরা

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।