ব্রিটেন ইইউ ছাড়ায় দুশ্চিন্তায় এশিয়া


প্রকাশিত: ০৩:১৮ এএম, ২৭ জুন ২০১৬

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতায় বিরূপ প্রভাব ফেলবে। এমনটাই আশঙ্কা করছে চীনসহ এশিয়ার শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোর। খবর বিবিসির।

ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার কয়েক বছরের মধ্যে বিপর্যয় তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন চীনের অর্থমন্ত্রী লু জিবাই।

এ সম্পর্কে লু বলেন, ব্রেক্সিটের ফলাফল এখনই খুব একটা পরিষ্কার নয়। তবে বছর খানেকের মধ্যেই সেটি স্পষ্ট বোঝা যাবে।

তিনি শুক্রবার বিশ্বের মুদ্রাবাজারে এর প্রভাব উল্লেখ করেন এবং মন্দাভাব দ্রুত কেটে ওঠার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এদিকে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটির সদস্য হুয়াং ইয়াইপিং বলেছেন, ব্রেক্সিট বিশ্বায়ন প্রক্রিয়াকে ওলট-পালট করে দিতে পারে। এটা চীনের জন্যও খুব খারাপ হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

গত বছর ব্রিটেনে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগে চীনের অবদান ছিল ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। গত বছর অক্টোবরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ব্রিটেন সফর করেন। এসময় দুদেশের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চুক্তি সই হয়।

ব্রেক্সিটের পর বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার বিষয় নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার একজন কর্মকর্তাও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এ নিয়ে জাপানের ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় এক নেতা বলেছেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় টোকিও প্রস্তুত।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি লন্ডন সফরে যাচ্ছেন।

এদিকে, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণার পর বিরোধী লেবার পার্টিতেও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। লেবার নেতা জেরোমি করবিন বলছেন, তিনি নেতৃত্ব ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত। নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজনে যদি আবারো নির্বাচন হয় সেখানেও লড়বেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

করবিন বলেছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছায়া মন্ত্রিসভা পুন:গঠিত হবে। ইতোমধ্যেই তার ১১জন ছায়ামন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন।

টিটিএন/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।