বুরকিনা ফাসোতে নাইজেরিয়ার সামরিক বিমানের জরুরি অবতরণ, অনিশ্চিত ১১ সেনার ভাগ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫২ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
সামরিক পরিবহন বিমান সি-১৩০/ ছবি : এএফপি

কয়েক দিন আগে আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বোবো দিওলাসোতে একটি নাইজেরিয়ান সামরিক বিমান অননুমোদিতভাবে অবতরণ করে। বিমানে ১১ জন নাইজেরিয়ান সেনা ছিল। অবতরণের পর তাদের ভাগ্য এখনও অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। তারা সেখানে আটকা রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।

এর আগে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছিল তা নিয়ে নতুন করে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।

বুরকিনা ফাসোর কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে জানিয়েছিল, সৈন্যদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং নাইজেরিয়ায় ফিরে যাওয়ার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আবুজার কর্মকর্তারা বলেছেন, বিষয়টি এখনও সম্পূর্ণভাবে সমাধান হয়নি।

জানা গেছে, ঘটনার শুরু সোমবার (৮ ডিসেম্বর)। লাগোস থেকে পর্তুগালগামী একটি নাইজেরিয়ান সামরিক পরিবহন বিমান—সি-১৩০—বারকিনা ফাসোতে অবতরণে বাধ্য হয়। সেদিন সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে দেশটির কর্তৃপক্ষ এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি এক অমিত্র সুলভ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করে।

নাইজেরিয়ান বিমানবাহিনী জানায়, প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বিমানটিকে নিকটবর্তী বিমানবন্দরে নামতে হয়েছিল যা মানক নিরাপত্তা পদ্ধতি ও আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল প্রোটোকলের মধ্যে পড়ে। তারা আরও জানায়, বারকিনা ফাসোর কর্তৃপক্ষ ক্রুদের সঙ্গে শিষ্টাচারপূর্ণ আচরণ করেছে এবং তাদের মিশন চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছিল।

এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ও সাধারণ আলোচনায় বিভিন্ন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়ে। কারণ এই অবতরণটি ঘটেছিল নাইজেরিয়ান সৈন্যরা বেনিনে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টা নস্যাৎ করতে সহায়তা করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ ঘটনা ঘটে। নাইজেরিয়া ও বুরকিনা ফাসো দুই দেশের সঙ্গেই বেনিনের সীমানা রয়েছে।

বুরকিনা ফাসো, মালি ও নাইজার—এই তিন দেশের গঠিত সাহেল রাষ্ট্রসমূহের জোট (এইএস) চলতি বছরের জানুয়ারিতে বৃহত্তর আঞ্চলিক সংস্থা ইকোওয়াস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে যায়। এরপর তারা তাদের বহু প্রচলিত স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক থেকে সরে এসে একটি নতুন সামরিক জোট গঠন করে।

কেএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।