তুর্কমেনিস্তানে একত্রিত রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরানের প্রেসিডেন্টরা
রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরানের রাষ্ট্রপ্রধানরা শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) তুর্কমেনিস্তানে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। মধ্য এশিয়ার এই দেশটি তাদের স্থায়ী নিরপেক্ষতা নীতির ৩০ বছর পূর্তিতে একটি বিরল আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র তুর্কমেনিস্তানের পররাষ্ট্রনীতির মূল ভিত্তি হলো স্থায়ী নিরপেক্ষতা। এই নীতি দেশটিকে বিশ্বের অন্যতম বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
সম্মেলনের অতিথিদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ানসহ অঞ্চলটির অন্য নেতারা।
তুর্কমেনিস্তানকে বিশ্বের সবচেয়ে গোপনীয় এবং অপ্রবেশযোগ্য দেশগুলোর একটি হিসেবে দেখা হয়, কখনও কখনও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেও তুলনা করা হয়।
১৯৯৫ সালে জাতিসংঘ তুর্কমেনিস্তানের স্থায়ী নিরপেক্ষতা মর্যাদা অনুমোদন করার পর থেকে এটি দেশটির পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়। রাজধানী আশগাবাতে প্রায় ১০০ মিটার (৩০০ ফুট) উঁচু নিউট্রালিটি মনুমেন্ট রয়েছে, যা দেখতে রকেট আকৃতির মতো এবং প্রথম প্রেসিডেন্টের সোনালি মূর্তিযুক্ত।
এই নিরপেক্ষ মর্যাদা তুর্কমেনিস্তানকে কোনো সামরিক জোট বা ইউনিয়নে পূর্ণাঙ্গভাবে যোগ দেওয়া থেকে বিরত রাখে। সরকারও এই নীতিকে দেশটির বিচ্ছিন্ন অবস্থান বজায় রাখতে ব্যবহার করে।
সম্মেলনের আগে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট সেরদার বারদিমুখামেদভ তুর্কমেন জনগণের জন্য মূল্যবান উপহার হিসেবে আরেকটি বই প্রকাশ করেছেন, যেখানে নিরপেক্ষতার উপকারিতা তুলে ধরা হয়েছে।
চীন, রাশিয়া, ইরান ও তুরস্কের সঙ্গে তুর্কমেনিস্তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে মূলত গ্যাস বাণিজ্যের কারণে। পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে তাদের সহযোগিতা তুলনামূলকভাবে সীমিত।
সূত্র: এএফপি
এমএসএম