নতুন বছরকে প্রথম স্বাগত জানালো যেসব দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:২৩ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ায় ইংরেজি নববর্ষ ২০২৬ উদযাপনের সময় আতশবাজির আলোতে রঙিন হয়ে ওঠে সিডনি হারবার ব্রিজ ও সিডনি অপেরা হাউজ/ ছবি: এএফপি

নতুন বছর ২০২৬ সালকে বিশ্বের বুকে প্রথম স্বাগত জানিয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় কয়েকটি দেশ। আন্তর্জাতিক সময়মান (ইউটিসি) অনুযায়ী সবার আগে রাত ১২টায় নতুন বছরে প্রবেশ করে কিরিবাতির লাইন আইল্যান্ডস। এই অঞ্চলের মানুষ আতশবাজি, ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।

কিরিবাতির পরপরই নতুন বছরে প্রবেশ করে টঙ্গো ও সামোয়ায়। তারা ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পারিবারিক মিলনমেলা ও জনসমাবেশের মাধ্যমে বছরের সূচনা করে।

এরপর নতুন বছর আসে নিউজিল্যান্ডে। বিশেষ করে, দেশটির বৃহত্তম শহর অকল্যান্ডে ঐতিহ্যবাহী স্কাই টাওয়ারকে কেন্দ্র করে বিশাল আতশবাজির আয়োজন করা হয়। হাজারো মানুষ শহরের রাস্তায় ও হারবার এলাকায় জড়ো হয়ে নতুন বছর উদযাপন করে।

নিউজিল্যান্ডের পর নতুন বছরে প্রবেশ করে অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চল, যার মধ্যে রয়েছে সিডনি ও মেলবোর্ন। সিডনি হারবার ব্রিজ ও অপেরা হাউজকে ঘিরে আয়োজিত বিশ্বখ্যাত আতশবাজির প্রদর্শনী আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের নজর কাড়ে।

এগুলো ছাড়াও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আরও কয়েকটি দেশে নতুন বছর শুরু হয়ে গেছে। এর মধ্যে আছে ফিজি, মার্শাল আইল্যান্ড, টুভালু নাউরু ও রাশিয়ার কিছু অঞ্চল।

ধাপে ধাপে বিশ্বজুড়ে উদযাপন

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে শুরু করে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা ও আমেরিকা- সময় অঞ্চলের পার্থক্যের কারণে ধাপে ধাপে গোটা বিশ্বে শুরু হয় ২০২৬ সালের উদযাপন। একেক দেশে একেক সংস্কৃতিতে পালিত হয় নতুন বছরের উৎসব।

বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও জলবায়ু সংকটের প্রেক্ষাপটে অনেক দেশ নতুন বছরকে ঘিরে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে। ২০২৬ সাল ঘিরে মানুষের এই আশাবাদই নতুন বছরের প্রথম প্রহরে সবচেয়ে বড় বার্তা হয়ে উঠেছে।

সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।